বইমেলায় গ্রুপ ফটোসেশন নিয়ে যা বললেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:১৮ পিএম
![বইমেলায় গ্রুপ ফটোসেশন নিয়ে যা বললেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/02/03/Faruki-67a07be434fd4.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
রীতি অনুযায়ী অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতনামা সাত কবি-লেখকের হাতে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ২০২৪’ তুলে দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তবে ওই অনুষ্ঠানে পুরস্কার পাওয়াদের পেছনে দাঁড় করিয়ে ফটোসেশন করা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তৈরি হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক আর সমালোচনা।
এবার সেই ফটোসেশনের ব্যাখ্যা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফায়েড আইডি থেকে এ বিষয়ে একটি পোস্ট করেছেন তিনি।
পোস্টে সংস্কৃতি উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণীজনদের গ্রুপ ফটো সেশন নিয়ে গতকাল থেকে নানারকম আলোচনা হচ্ছে। আপনারা সবাই জানেন সরকার বা পুরস্কার প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সাথে স্টেজেই পুরস্কারপ্রাপ্তদের গ্রুপ ফটো সেশনের একটা রেওয়াজ চালু আছে, যেটা নিয়ে আগে কখনো কোনো অভিযোগ ওই রকমভাবে শোনা যায় নাই। কিন্তু আমরা তো সংস্কার করতে আসা সরকার। আমাদের কেনো রেওয়াজ মানতে হবে?’
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আরও লিখেছেন, ‘আজকে আমাদের মন্ত্রণালয়ে এটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি গ্রুপ ফটোসেশনের এই রেওয়াজ এ বছরের একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠান থেকে আর রাখা হবে না। গ্রুপ ফটো সেশন কোথায় কিভাবে হবে এটা নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’
আওয়ামী লীগের শাসনামলের প্রসঙ্গ টেনে পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, ‘ছয়মাস হইলো আমরা একটা খুনি-সাইকোপ্যাথের হাত থেকে মুক্তি পাইছি। জাস্ট ছয় মাস! যে খুনি শত শত মানুষকে গুম করিয়েছে, হাজার হাজার বিরোধী মতের মানুষকে খুন করিয়েছে, জুলাইতে একটা নারকীয় গণহত্যা চালিয়েছে, ইলিয়াস আলিকে গুমের পর হত্যা করে তার মেয়েকে জড়িয়ে ধরে নাটক করেছে, হেলিকপ্টার থেকে গুলি করিয়ে মানুষ মেরেছে, যে এখনো বিচার প্রক্রিয়া পার হওয়াতো দুরের কথা সামান্য অনুশোচনার ভেতর দিয়েও যায় নাই, যে এখনো আরও খুনের হুমকি দিচ্ছে- তার সঙ্গে শিষ্টাচার?’
পোস্টের শেষ অংশে প্রশ্ন রেখে তিনি আরও লিখেছেন, ‘হিটলারের সঙ্গে শিষ্টাচার? আর ইউ সিরিয়াস? সালাম দিয়ে বলতে হবে, ‘প্রিয় খুনি, আপনি আমার প্রণাম গ্রহণ করুন’?