রিমান্ডে অমানবিক নির্যাতন
পুলিশ কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম
ফাইল ছবি
হত্যা মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামিকে অমানবিক নির্যাতনের ব্যাখ্যা দিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহিদুল বিশ্বাসকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে। আয়াজ হত্যা মামলার আপিল শুনানিকালে রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আসামি পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
তিনি বলেন, ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর কলেজ ফুটবল প্রীতি টুর্নামেন্টে বিরোধের জেরে গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্র আয়াজ হককে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এ মামলার আসামি ইনজামামুন ইসলাম ওরফে জিসানকে একাধিকবার রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহিদুল বিশ্বাস। নির্যাতনের কারণে তার পায়ে পচন ধরে। সে তার স্বাভাবিক জীবন হারিয়ে ফেলে। এখনো কারাগারে আছে জিসান। অকথ্য নির্যাতন করে তার থেকে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়। হাইকোর্টে এই মামলার আপিল শুনানি চলছে। শুনানিকালে জিসানকে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি নেওয়ার বিষয়টি আদালতের নজরে এসেছে।
ছাত্র আয়াজকে হত্যার দায়ে একজনকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। আসামিরা সবাই সিটি কলেজের ছাত্র। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে জিসানকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-তৌহিদুল ইসলাম, মশিউর রহমান আরাফ, তৌহিদুল ইসলাম শুভ, আবু সালেহ মো. নাসিম ও আরিফ হোসেন রিগ্যান।