বিএসএমএমইউর গবেষণা
দেশে মোট মৃত্যুর ১২ শতাংশ ক্যানসারে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম
দেশে বর্তমানে প্রতি লাখে ক্যানসারের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০৬ জন। এছাড়াও প্রতি বছর নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন ৫৩ জন। বিভিন্ন রোগে মোট মৃত্যুর ১২ শতাংশই ক্যানসারের রোগী। ৩৮ ধরনের ক্যানসারের মধ্যে স্তন, মুখ, পাকস্থলি, শ্বাসনালি এবং জরায়ু মুখের ক্যানসারের রোগীই বেশি।
শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ক্যানসারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এক গবেষণার ফলাফল থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
‘বাংলাদেশে ক্যানসারের বোঝা : জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যানসার রেজিস্ট্রি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন প্রধান গবেষক ও পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. খালেকুজ্জামান। তিনি জানান, ক্যানসার বিশ্বে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর একটি।
বাংলাদেশে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যানসার রেজিস্ট্রি (পিবিসিআর) না থাকায় প্রতিবেশী দেশগুলোর তথ্য ব্যবহার করে ক্যানসারের পরিস্থিতি অনুমান করতে হয়। এর ফলে বাংলাদেশে ক্যানসারের সঠিক পরিস্থিতি জানার ব্যাপারে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যানসার রেজিস্ট্রি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ক্যানসারের পরিস্থিতি নির্ণয় করা জরুরি হয়ে পড়েছিল। তাই এ গবেষণা পরিচালনা করা হয়।
তিনি আরও জানান, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে ২ লাখ মানুষের ওপর এই গবেষণা পরিচালন করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে ৫টি প্রধান ক্যানসার হলো স্তন, মুখ, পাকস্থলি, শ্বাসনালি এবং জরায়ু মুখের ক্যানসার। পুরুষদের ৫টি প্রধান ক্যানসার হলো শ্বাসনালি, পাকস্থলি, ফুসফুস, মুখ ও খাদ্যনালির ক্যানসার। নারীদের ৫টি প্রধান ক্যানসার হলো স্তন, জরায়ুমুখ, মুখ, থাইরয়েড এবং ওভারি।
পুরুষ ক্যানসার রোগীদের ৭৫ দশমিক ৮ শতাংশ ধুমপায়ী এবং ধোঁয়াহীন পান, জর্দা, তামাক সেবনকারী ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ। ক্যানসার রোগীদের মধ্যে ৬০ দশমিক ৬ শতাংশ নারী ধোঁয়াহীন পান, জর্দা, তামাক সেবনকারী। ৪৬ শতাংশ রোগীর ক্যানসারের সঙ্গে ই-তামাক সেবনের সম্পর্ক রয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন- উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ জাকির হোসেন।