সবকিছু রাতারাতি হয়ে যাবে না: আদিলুর রহমান
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৭ পিএম
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, সবকিছু রাতারাতি হয়ে যাবে না। কাজটি আমরা শুরু করলাম। কাজটি এগিয়ে যাবে, যাতে এবারের বর্ষায় আমরা যতটুকু পারি জলাবদ্ধতা কমিয়ে আনতে পারি। এ বর্ষার পরেরটাতে যাতে পানি চলে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়, সেজন্য আমরা কাজ করছি। এ বর্ষায় যেন আগের অবস্থার মতো না হয় এবং জলাবদ্ধতা কম হয় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে নগরীর বহদ্দারহাটের বারইপাড়া ও ষোলশহরের সুন্নিয়া মাদ্রাসা খাল খনন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন উপদেষ্টার কাছে খাল খননের কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন।
এ সময় চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দিন, চউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিমসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, গত অনেক বছর নদী, নালা, খাল ও শহরের ভেতর যে জলাবদ্ধতা, এ সবের কোনো খোঁজ করা হয়নি। ব্যাপক অভিযোগ ছিল। জনগণের জন্য যেসব কাজ করা দরকার ছিল সেসব হয়নি। প্রত্যেক বছর চট্টগ্রাম পানির নিচে চলে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি শহরের ভেতরে যতগুলো খাল-নালার মাধ্যমে সমুদ্র ও নদীতে পানি যায় সেগুলো চালু করার।
চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করলে নগরবাসীকে এ জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই দিতে পারব বলে আশা করছি। আগে সমন্বয় ছিল না। এখন আমরা সব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে কাজ করছি। আশা করছি, একটি রেজাল্ট পাব। হয়তো এ মৌসুমে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ফলাফল পাব। ১০০ শতাংশ রেজাল্ট পেতে আরও এক বছর সময় লাগবে।
গত ১৯ জানুয়ারি জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে চট্টগ্রাম এসেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত উচ্চপর্যায়ের মনিটরিং টিমের তিন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক।
পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোকে আগামী বর্ষার আগে করণীয় হিসেবে ১১ দফা কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ দিয়েছিলেন তারা। তিন উপদেষ্টার পর এবার এসেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।