আইসিজির প্রতিবেদন
হানিমুন শেষ, অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর জনপ্রত্যাশার চাপ বাড়ছে
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১৯ পিএম
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হলে অন্তর্বতী সরকারের দায়িত্বে আসেন ড. মোহাম্মদ ইউনূস। নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসকে প্রধান করে গড়া হয় এই সরকার। সেই সরকারের মেয়াদও পাঁচ মাস ছাড়িয়েছে। এই সময়টাকে মধুচন্দ্রিমা বলে উল্লেখ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক আন্তর্জাতিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি)।
‘ইইউ ওয়াচলিস্ট’ নামের এক দীর্ঘ প্রতিবেদনে
তারা বলেছে, ‘শেখ হাসিনাকে
ক্ষমতাচ্যুত করার উল্লাস শুরুতে ইউনূস প্রশাসনের জন্য অভাবনীয় জনসমর্থনে রূপ নেয়। কিন্তু
সংস্কারের নামে সেই মধুচন্দ্রিমার সময় শেষ হয়ে গেছে।’
প্রতিবছর এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে
আইসিজি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) শান্তি প্রতিষ্ঠায় কোন দেশের ক্ষেত্রে কী ভূমিকা রাখতে
পারে, তা প্রতিবেদনে তুল ধরা হয়। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এবারের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ছাড়াও আছে কলম্বিয়া,
উত্তর কোরিয়া, সুদান, গ্রেট লেকস, ইউক্রেইন, সিরিয়া, ইসরায়েল, ফিলিস্তিন ও ইরানের
নাম।
বাংলাদেশ অংশের শিরোনাম করা হয়েছে,
‘বাংলাদেশ: গণতান্ত্রিক
উত্তরণে উভয় সংকট’। সেখানে দুটি ভাগে তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অবস্থা
এবং নানা অসঙ্গতির কথা। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অন্তর্বর্তী
সরকারের ওপর জনপ্রত্যাশার চাপ বাড়তে শুরু করেছে। সেটা কেবল প্রতিশ্রুত সংস্কারের জন্য
নয়, দৈনন্দিন সুশাসনের উন্নতির দাবিও আছে।’
আইসিজি বলছে, আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে
বিএনপি এখন দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। দলটিকে অপেক্ষমান সরকার হিসেবে
দেখা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিষয়ের পাশাপাশি অর্থনীতি নিয়েও লেখা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এতে বলা হয়েছে— অর্থনীতি আবার সঠিক
পথে ফিরিয়ে আনার চলমান প্রচেষ্টার সুফল পেতে বাংলাদেশের জনগণের আরও অপেক্ষা করতে হবে।
এছাড়া ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে এখনো টানাপড়েন রয়েছে, আর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অদূর ভবিষ্যতে
যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইসিজি মনে করে, ‘অর্থনীতি আবার সঠিক পথে ফিরিয়ে
আনার চলমান প্রচেষ্টার সুফল পেতে বাংলাদেশের জনগণের আরও অপেক্ষা করতে হবে।’