বেক্সিমকোর লে-অফকৃত ১২ প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিন্ধান্ত
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫০ পিএম
ফাইল ছবি
বেক্সিমকোর লে-অফকৃত ১২টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. সাখাওয়াত হোসেন।
মঙ্গলবার বেক্সিমকো শিল্প গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসা পরিস্থিতি পর্যালোচনাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের ষষ্ঠ বৈঠক শেষে একথা বলেন তিনি।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির চেয়ে বড় কেলেঙ্কারি করেছে বেক্সিমকো। তিনি জানান, এ প্রতিষ্ঠানকে যেসব ব্যাংক ঋণ দিয়েছে, সেগুলোর তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।
মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপদেষ্টা পরিষদের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় অর্থ, স্বরাষ্ট্র, শিল্পসহ পাঁচজন উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট সিনিয়র কর্মকর্তারা অংশ নেন। পরে সভার সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান শ্রম উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, সালমান এফ রহমান সবমিলিয়ে ৪০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এগুলো মন্দ ঋণ কিনা-তা ব্যাংকগুলোর কাছে জানতে চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেসব ব্যাংক ঋণ দিয়েছে সেগুলোর তদন্ত হবে। বিশেষ করে এই পরিমাণ টাকা কিসের ভিত্তিতে ঋণ দিয়েছে তা ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকে জমা রাখা এই টাকা আমাদের ও আপনাদের। ব্যাংক থেকে ওই টাকা উধাও করা হয়েছে।
ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বেক্সিমকোর লে-অফকৃত ১২টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে। ওইসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের আইনানুগ পাওনাদি শ্রম আইন ও অন্যান্য আইন অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, রোববার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো সভা করে বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুর সিরামিকের অবিক্রীত শেয়ার বিক্রির ব্যবস্থা করবে এবং এজন্য অর্থ বিভাগ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। অর্থ বিভাগ থেকে যে টাকা পাব সেটার পাওনাদার হবেন শ্রমিকরা। আইন অনুযায়ী তারা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা তা সবই দেওয়া হবে। এজন্য ৫০০-৬০০ কোটি টাকা দরকার। শেয়ার বিক্রি থেকে যে টাকা আসবে এবং বাকিটা সরকার সহযোগিতা করবে।
কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্তের কারণ জানাতে গিয়ে এ উপদেষ্টা বলেন, এসব ফ্যাক্টরি আগেই লে-অফ। এখন এসব ফ্যাক্টরি চালাবে কে? দুদিন পরপর হামলা হবে এর দায় কে নেবে? অনেক আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, বেক্সিমকোর লে-অফকৃত প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমকে না জানানোয় রিসিভারকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইসঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়েছে-তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া তিনি জানান, বেক্সিমকোর যে দু-একটি প্রতিষ্ঠান চালু আছে সেগুলো বিক্রি করা হবে কিনা-তা পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।