শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি
শহিদ পরিবারকে কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দাবি
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৯ পিএম
জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ‘শহিদদের’ পরিবারকে এককালীন এক কোটি এবং আহতদের ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করেন পরিবারগুলোর সদস্যরা।
কর্মসূচির মুখপাত্র পরিচয় দিয়ে
সেখানে বক্তব্য দেন আমিনুল ইসলাম ইমন। তিনি বলেন, ‘এর আগে আমরা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনসহ দুটো কর্মসূচি
পালন করেছি। আজকেও সুশৃঙ্খলভাবে কর্মসূচি পালন করছি। আমরা এখানে যারা দাবি-দাওয়া নিয়ে
এসেছি প্রত্যেকের পায়ে বেড়ি পরানো আছে, প্রত্যেকেই আহত। আমরা যুদ্ধের ময়দানে সম্মুখসারির
যোদ্ধা ছিলাম। যে কারণে আমাদের গুলি লেগেছে আমরা আহত হয়েছি। আমাদের ভাইরা শহিদ হয়েছেন।'
ইমন অভিযোগ করেন, ‘মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর মতো আওয়ামী লীগের
দালালদের ছত্রছায়ায় থাকা কিছু লোকজন আমার প্রিয় সম্মুখসারির যোদ্ধা আহত ভাইদের ‘আহত লীগ’ বলে এই কর্মসূচিকে অন্যদিকে মোড়
ঘুরিয়ে দেওয়ার চষ্টো করছেন। সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আমরা এ সরকারেরই একটি অংশ।
আমাদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলবেন না। আমাদের আহত লীগ বলবেন না। আমাদের যারা আহত লীগ
বলবেন তারা নিজেরাই আওয়ামী লীগের দোসরদের মতো আস্তাকুঁড়ে নিক্ষপ্তি হবেন।'
কর্মসূচি থেকে আরও যেসব দাবি
তোলা হয় তা হলো আহত ও ‘শহিদদের’ বিষয়ে সরকারের যে কোনো আলোচনা ও সদ্ধিান্ত
গ্রহণে তাদের পরিবারের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। আহত ও শহিদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
প্রদান করতে হবে। আহতদের রাষ্ট্রীয় খরচে দেশে-বিদেশে সুচিকিত্সা নিশ্চিত করার পাশাপাশি
প্রয়োজনে আজীবন চিকিত্সার খরচ বহন করতে হবে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত
করতে হবে। আহত ও ‘শহিদদের’
পরিবারের নিরাপত্তায় সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে। আহতদের পুনর্বাসনে গণ-অভ্যুত্থান
কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ছাত্র-জনতার গণ-অভু্যত্থানে
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর আসা অন্তর্বর্তী সরকারের গণ-অভ্যুত্থানসংক্রান্ত
বিশেষ সেল ছাত্র-জনতার গণঅভু্যত্থানে ‘শহিদ’ ও আহত ব্যক্তিদের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশ
করে ২১ ডিসেম্বর। সেখানে ৮৫৮ জন শহিদের নামের পাশাপাশি আহতদের তালিকায় ১১ হাজার ৫৫১
জনের নাম ছিল। এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর ‘শহিদদের’ পরিবারকে ৫ লাখ এবং আহতদের এক লাখ টাকা করে
ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সদ্ধিান্ত হয়।