Logo
Logo
×

জাতীয়

‘বেক্সিমকোর সম্পদ জব্দ করে শ্রমিকদের বেতন দিতে হবে’

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম

‘বেক্সিমকোর সম্পদ জব্দ করে শ্রমিকদের বেতন দিতে হবে’

বেক্সিমকো গ্রুপের কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের বেতন নিয়ে অসন্তোষ চলছে। প্রয়োজনে ওই প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য সম্পদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ অধিগ্রহণ করে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে এই শিল্প প্রতিষ্ঠানের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ও প্রভাব খাটিয়ে যারা ঋণ নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ বলে জানান আর্থিক খাত বিশ্লেষক মামুন রশীদ।

শনিবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘আমলাতান্ত্রিক জটিলতাই বিদেশি বিনিয়োগের প্রধান বাধা’ শীর্ষক ছায়া সংসদে মামুন রশীদ এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। এদিন সংস্থাটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আর্থিক খাত বিশ্লেষক মামুন রশীদ আরও বলেন, বিদেশে রোড শো করে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করা যায় না। বিগত সরকারের সময় রোড শো’র নামে আমলা ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের আশির্বাদপুষ্টরা বিদেশে আনন্দ ভ্রমণ করেছে। এসব শো’র নামে অনৈতিকভাবে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় করা হয়েছে। সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন তাদের দায়িত্বের বাইরে যেয়ে এসব রোড শো করেছে।

তিনি জানান, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে হলে বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনায় সুশাসনের মাধ্যমে সৎ, যোগ্য ও বিনিয়োগ আকর্ষণে সক্ষম ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রক সংস্থার দায়িত্ব দিতে হবে। একই সঙ্গে ঘুস, দুনীর্তি বন্ধের পাশাপাশি ঋণ প্রাপ্তি সহজীকরণ, আমলাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার জরুরি।

মামুন রশীদ বলেন, আওয়ামী লীগ শাসন আমলে অসৎ উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হলেও সৌদি আরবের আরামকো, কোরিয়ার সামসাং ও আমাজন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেনি। ডলার সংকটের কারণে ইত্তেহাদ ও ফেসবুক তাদের বিনিয়োগ সংকোচন করেছে।

 

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ডলার সংকট, উচ্চ সুদহার, অধিক শুল্ক দুনীর্তি, অর্থপাচার, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সেবা প্রাপ্তিতে ভোগান্তি, জ্বালানি সংকট, আমলাতান্ত্রিক জটিলতাসহ নানা কারণে বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগে লক্ষমাত্রা অর্জন করতে পারছে না। বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ থেকে তাদের মুনাফা, লভ্যাংশ ও পুঁজি ফেরত নিতে পদে পদে হয়রানি, ঘুস ও দুনীর্তির শিকার হয়। ফলে তারা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয় না।

ছায়া সংসদে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সমান নম্বর পেয়ে যৌথভাবে বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন-অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. এসএম মোর্শেদ, বাবু কামরুজ্জামান, সাংবাদিক ইকবাল আহসান ও আবুল কাশেম। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম