Logo
Logo
×

জাতীয়

ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অনিয়মের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়তে বললেন সিইসি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম

ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অনিয়মের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়তে বললেন সিইসি

ছবি: সংগৃহীত

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা। ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে মানুষ। এই অবস্থায় আসন্ন নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা। আর সেই চ্যালেঞ্জটাই নিতে চান প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।

ভেঙে পড়া নির্বাচন ব্যবস্থার উত্তরণে দেশের সব মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে তার কমিশন। সোমবার ঢাকার সাভারে ‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্যদের তথ্য সংগ্রহ শুরুর মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি’ উদ্বোধনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সিইসি বলেন, ‘অনিয়ম চাই না আমরা। সত্যিকারভাবে নির্বাচন বলতে যা বোঝায় তা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। নির্বাচনের নামে প্রহসন চাই না। (ভোটার) হালনাগাদ থেকে আরম্ভ করে ভোট দেওয়া, রেজাল্ট পযন্ত এ দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় আমরা সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা চাই।’

বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্যদের তথ্য সংগ্রহ শুরুর মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি চলবে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া, ছবি তোলাসহ অন্যান্য কাজ চলবে। জুনের মধ্যে এ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে যাদের জন্ম, যারা বাদ পড়েছেন, তাদের ভোটার তালিকাভুক্তি ও মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ এবং আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ঠিকানা স্থানান্তরের সুযোগ থাকছে এবারের হালনাগাদে।

ভোটার হালনাগাদ কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শুরু হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন নাসির উদ্দিন।

সিইসি বলেন, ‘যেদিন মানুষ নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে, ফ্রিলি-ফেয়ারলি ও ভয়ভীতিহীনভাবে; সেদিন আমরা মনে করি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমরা নেমেছি। সবাইকে সাথে নিয়ে আমাদের এ কাজ করতে হবে।’

ভোটের অধিকার আদায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘বাঙালি জানে ঐক্যবদ্ধ হতে; অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে বাঙালি ফাইট করতে জানে। বাংলাদেশিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের ভোটের অধিকার আদায় করবে- আমাদের নেতৃত্বে; আমরা আপনাদের সাথে আছি।’

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানুষ যে ভোট নিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন, সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন নাসির। বলেন, ‘মানুষ তো ভোটের প্রতি আগ্রহই হারিয়ে ফেলেছে। তরুণ অনেকে আমার সাথে দেখা করতে এলে বলে, তারা ভোট দিতে পারেনি। তাদের আমি ভোটের ব্যবস্থা করে দিতে চাই। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের শুরু হল।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ সুযোগ সদ্ব্যবহারের যাত্রা শুরু হলো; লং জার্নি। ভোটার ক্যাম্পেইন থেকে আরম্ভ করে পছন্দের ভোট দেওয়া, ভোট গণনা করে প্রার্থী যে হোক, ভোট দেওয়া- এ পুরো জার্নিতে আমি আপনাদের সাথে চাই।’

ভোটের অনিয়ম বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ারও আহ্বান জানান সিইসি, ‘ভোটের দিন যাতে কেউ আপনার অধিকার হরণ করতে না পারে, ভোটকেন্দ্র দখল করতে না পারে, ব্যালট বাক্স কেড়ে নিতে না পারে- ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। নিজের অধিকার রক্ষার জন্যে এক হতে পারি না?’

তিনি আরও বলেন, ‘কেন্দ্র পাহারা দেব, কেন্দ্র দখল করতে দিব না; অনিয়মের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ধারণা দিয়েছেন, মোটাদাগে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হতে পারে।

সরকার প্রধানের সেই সম্ভাব্য সময়সূচি ধরেই ইসি কাজ করে যাওয়ার কথা বলে আসছে। যদিও বিএনপির তরফে আগামী জুলাই-অগাস্টের মধ্যে নির্বাচন দাবি করা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম