ঝুঁকি নিয়ে বাণিজ্যমেলায় আগমন, বাইপাস সড়ক পারাপারে ফ্লাইওভার নির্মাণের দাবি
যমুনার পণ্যে বিশেষ ছাড়
রাসেল মাহমুদ, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১৫ এএম
ফাইল ছবি
রাজধানীর কুড়িল-বিশ্বরোড থেকে বিআরটিসি বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছাতেই ক্রেতা-দর্শনার্থীরা বাণিজ্যমেলায় যাওয়ার প্রতিযোগিতায় নামেন। এভাবে রাস্তা পার হতে গিয়ে যে কোনো সময় প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা অনেকের। তাই বাণিজ্যমেলার পার্শ্ববর্তী ঢাকা বাইপাস সড়ক পারাপারের জন্য ফ্লাইওভার নির্মাণের দাবি ক্রেতা, দর্শনার্থী ও এলাকাবাসীর।
মেলার পশ্চিম পাশ দিয়ে গেছে এশিয়ান সড়ক নামে পরিচিত ঢাকা বাইপাস সড়ক। বুধবার সরেজমিন দেখা যায়, এ সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। ধুলাবালিতে সয়লাব এলাকাটি। সড়কের পশ্চিম পাশে বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড। বাস থেকে নেমেই সড়ক পার হয়ে দর্শনার্থীরা ছুটে চলছেন মেলার পূর্বপাশে অবস্থিত টিকিট কাউন্টারে। টিকিট সংগ্রহ করেই আবার পশ্চিম দিকে ছুটছেন মেলার প্রবেশ গেটের দিকে।
মেলার পার্শ্ববর্তী গ্রাম শিমুলিয়া এলাকার তানভির আহম্মেদ কল্লোল বলেন, এখানে ফ্লাইওভার নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত আগতদের ঝুঁকি থেকেই যাবে।
পার্শ্ববর্তী হাবিবনগর এলাকার বকুল মিয়া বলেন, মেলার পূর্বপাশের রাজউকের খালি মাঠে বাসস্ট্যান্ড হলে সেখান থেকে যাত্রী তুলে কালীগঞ্জ-রূপগঞ্জ সড়ক দিয়ে কাঞ্চন সেতুর আন্ডারপাস পার হয়ে বিআরটিসি বাস ঢাকায় আসা-যাওয়া করলে যানজট ও ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, রাজউকের খালি জায়গায় বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড হলে বিদ্যালয়ের পাঠদানে কোনো সমস্যা হবে না। মেলার ক্রেতা, দর্শনার্থী ও বাসযাত্রীদের চলাচলে সুবিধা হবে। তাতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
রূপগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মজিবুর রহমান বলেন, বাসযাত্রী ও ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য প্রয়োজনে মেলার পার্শ্ববর্তী যে কোনো স্থানে বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড হতে পারে। তাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে ঢাকা বাইপাস সড়কের পূর্ব পাশে কিংবা রাজউকের খালি মাঠে বাসস্ট্যান্ড হলে সবার সুবিধা হবে। অথবা মেলার পশ্চিম পাশে ঢাকা বাইপাস সড়কের ওপর ফ্লাইওভার নির্মাণ করলে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, মেলার সামনের প্রধান সড়কটি খুবই ব্যস্ততম। ক্রেতা-দর্শনার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে সড়কটি পারাপার হন। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যেহেতু মেলাটি স্থায়ী ভেন্যুতে হচ্ছে। সেজন্য আগামী বছর মেলা শুরুর আগে যেন এখানে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয় সেজন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব বিবেক সরকার বলেন, মেলায় আগতদের বিষয়টি বিবেচনা করে এশিয়ান হাইওয়ে (ঢাকা বাইপাস) সড়কে ওভারব্রিজ করা যায় কি না সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। তাছাড়া সড়ক পারাপারে যেন কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেজন্য অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
যমুনার পণ্যে বিশেষ ছাড় : যমুনা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমোবাইল লিমিটেডের হেড অব সেলস মো. মেজবাহ উদ্দিন আতিক বলেন, বিগত বছরের মতো এবারও ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী মেলায় আমরা উন্নতমানের পণ্যসামগ্রী নিয়ে এসেছি।
রাইসকুকার, রেফ্রিজারেশন, মাইক্রোওভেন, ইলেক্ট্রনিক ওভেন, গ্যাস বার্নার, কারিকুকার, ইনফারেন্সকুকার, রুমহিটার, ভেন্ডার, মিকসারভেন্ডার, জুসার-এসব পণ্য আমরা বিশেষ ছাড়ে বিক্রি করছি। বিশেষ করে মোটরসাইকেল, টিভি, ফ্রিজ, এয়ারকন্ডিশন, ওয়াশিং মেশিনে বড় ছাড় দেওয়া হচ্ছে। পণ্যভেদে ১০ থেকে ২৫ শতাংশ ডিসকাউন্টের অফার করেছি। এই প্রথম আমরা সবচেয়ে বড় ১০০ ইঞ্চি টিভি নিয়ে এসেছি। হোম অ্যাপ্ল্যায়ন্সে যমুনা ফ্যান; তাছাড়া ৫৫ ইঞ্চি, ৪৩ ইঞ্চি, ৩২ ইঞ্চি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত উন্নত ক্যাটাগরির টেলিভিশন এবং ২ টন, ১.৫ টন, ১ টনের অত্যাধুনিক ফিচার সংবলিত ইনভার্টার এয়ার কন্ডিশনার রয়েছে, যা সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। আমাদের লক্ষ্য দেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে যমুনার কোয়ালিটি পণ্যের অবস্থান নিশ্চিত করা।
তিনি আরও বলেন, যমুনা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমোবাইল পণ্যের গুণগতমানের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। আমরা কোয়ালিটিকে সবসময় অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি।