মুঠোফোন ও ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট না কমালে এনবিআর ঘেরাওয়ের ঘোষণা

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৩৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
মুঠোফোন ও ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট না কমালে এনবিআর ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের নেতারা।
রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট
সেবায় নতুন করে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে ওই হুঁশিয়ারি দেওয়া
হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম
ও আইআইজির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, শতভাগ দেশিয় উদ্যোক্তার মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড
ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা হয়। এই সেবা খাত ধ্বংস করার অপচেষ্টা আগেও করা হয়েছে।
এখন আবার নতুন করে ১০ শতাংশ এসডি ও সাথে ভ্যাট যুক্ত করায় গ্রাহকের ভোগান্তি যেমন
বাড়বে, একইভাবে এই সেবাখাত ধ্বংস হয়ে যাবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে যদি এই ধরনের হঠকারি
সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হয়, তাহলে আমরা গ্রাহক এবং সেবা খাতের সবাইকে নিয়ে এনবিআর
কার্যালয় ঘেরাও করব।
আইএসপিএবি'র সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, নতুন ভ্যাট আরোপের ফলে আমাদের
ছোট ছোট উদ্যোক্তা যেমনভাবে হুমকির মুখে পড়বে, ঠিক একইভাবে গ্রাহকদের ওপর অতিরিক্ত
করের বোঝার চাপ বাড়বে। ফোনে ইন্টারনেট সেবা বিমুখ হবে জনগণ। যা নতুন করে বৈষম্য তৈরি
করবে।
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালিদ আবু নাসের বলেন,
নতুন করে করের বোঝা জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলবে, সরকারকে ১০ নম্বর সংকেতে ফেলবে। হঠকারি
মূলক সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে।
প্রযুক্তিবিদ ও প্রযুক্তি শিল্প উদ্যোক্তা বেসিসের সাবেক সভাপতি
ফাহিম মাশরুর বলেন, কারো সঙ্গে আলোচনা না করে নতুন করে ইন্টারনেট সেবার ওপর কর আরোপ
করা এক ধরনের স্বৈরাতান্ত্রিক আচরণ। নতুন করে কর বৃদ্ধি করলে টেলিযোগাযোগ ইন্টারনেট
সেবা খাত হুমকির মুখে পড়বে। নতুন উদ্যোক্তা তৈরি তো দূরে থাক গ্রাহকরা এই সেবা গ্রহণ
করতে পারবে না। তাছাড়া নতুন করে কর আদায় করার যে সিদ্ধান্ত, তা হোচট খাবে।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দুর্নীতিবাজ
রাজস্ব কর্মকর্তাদের খুশি করতেই তাদের পরামর্শে এই ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে
সরকার। আমরা ভেবেছিলাম ৫ই আগস্টের পর আর রাজপথে দাঁড়াতে হবে না। কিন্তু আজ দুঃখের
সঙ্গে আমাদের রাজপথে দাঁড়াতে হলো। গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনা না করে কারো সঙ্গে আলোচনা
না করে রাতের আঁধারে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যা জনগণের মাঝে নতুন করে বৈষম্য
সৃষ্টি করল। এক সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে আমরা এনবিআর কার্যালয়ের
সামনে অবস্থান করাসহ কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন, প্রযুক্তিবিদ ফিদা হক, ফ্রিল্যান্সার
প্রতিনিধি আনিস, রিচার্জ ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন, পাঠাও এর সিইও ফাহিম প্রমুখ।