
প্রিন্ট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৬ পিএম
হজ ব্যবস্থাপনায় জটিলতা নিরসনে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি হাবের

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম

আরও পড়ুন
২০২৫ সালের হজ ব্যবস্থাপনায় জটিলতা নিরসনে ধর্ম উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর নেতারা।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ২০২১ সালের জাতীয় হজ ও ওমরাহ্ নীতিমালা অনুযায়ী, এজেন্সি প্রতি সর্বনিম্ন হজ যাত্রীর কোটা ১০০ জন এবং সর্বোচ্চ হজ যাত্রীর কোটা ৩০০ জনের বাধ্যবাধকতা আছে। বিষয়টি বাংলাদেশের হজ যাত্রীদের বয়স বিবেচনায় নিয়ে সুষ্ঠু হজ পালন ও যথাযথ সেবার নিশ্চিত করেই করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সারা জীবনের লালিত স্বপ্ন একবারের জন্য হলেও আল্লাহর ঘরের মেহমান হয়ে পবিত্র কা’বা জিয়ারত ও সোনার মদিনায় হাজিরা দিয়ে সালাতু সালাম পেশ করা। এ মহান কাজটি সুন্দর ও সুচারুরূপে সম্পাদন করতে এজেন্সি মালিক ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তরের আন্তরিক সহযোগীতা একান্ত জরুরি।
ইতোমধ্যে সৃষ্ট কোটা সংকট পুরো হজ ব্যবস্থাপনা সংকটে পতিত হয়েছে। গত বছর এজেন্সি প্রতি ২৫০ জন কোটা ছিল, যা এ বছর ৫০০ জন করা হয়। তবে সৌদি সরকারের সাম্প্রতিক নির্দেশনায় এটি ১,০০০ জনে উন্নিত করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন এজেন্সি এবং হজ যাত্রীদের জন্য গুরুতর সংকট তৈরি করবে। তারা অনলাইন নিবন্ধনের সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চালু রাখারও দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সৌদি সরকার তাদের নীতিমালা অনুযায়ীই হজ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তেমনি আমাদের সরকারও আমাদের রাষ্ট্রীয় আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী হজ কার্যক্রম পরিচালনার পদক্ষেপ নেয়। সেক্ষেত্রে সৌদি সরকরের কোনো পদক্ষেপ যদি আমাদের আইন-কানুনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়, কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে তা সমাধান করা আমাদের সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু সৌদি আরবে আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সেক্ষেত্রে বার বার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
নেতারা বলেছেন, ২০২৫ সালে হজে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাদের পবিত্র ফরজ এবাদত সুন্দরভাবে সম্পাদন করতে পারবে কি-না, সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রবল হয়ে উঠছে। এ নিয়ে প্রায় ৮২ হাজার হজ যাত্রী ও এজেন্সির মালিকরা চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় ভুগছে। বিরাজমান এই সংকট দূর করতে জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, হাবের সহ-সভাপতি সৈয়দ গোলাম সারোয়ার, সাবেক সভাপতি আব্দুশ শাকুর, ইব্রাহীম বাহার, জামাল উদ্দিন, ফারুক আহমেদ সরকার, সাবেক মহাসচিব রশিদ শাহ সম্রাট, ফরিদ আহমেদ মজুমদার প্রমুখ।