Logo
Logo
×

জাতীয়

ত্রুটিপূর্ণ ড্যাপ সংশোধনে আলটিমেটাম

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪১ পিএম

ত্রুটিপূর্ণ ড্যাপ সংশোধনে আলটিমেটাম

ঢাকার জন্য প্রণয়ন করা রাজউকের মাস্টার প্ল্যান ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় দ্রুত ফ্ল্যাটের দাম এবং বাড়ি ভাড়া বাড়ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০০৮ অনুযায়ী ভবন নির্মাণের অনুমোদন দিলেই কার্যত সমাধান মেলে। ১৫ জানুয়ারি বা ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রাজধানীর ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকরা।

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ আলটিমেটাম দেয় ঢাকা শহরের ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিক সমিতি। সংগঠনের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. দেওয়ান এমএ সাজ্জাদের সভাপতিত্বে আয়োজিত মানববন্ধনে কয়েকশ ভূমি মালিক অংশ নেন।

ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকরা জানান, ২০২২-২০৩৫ বৈষম্যমূলক ফারের (এফএআর) কারণে ঢাকা শহরের আবাসন উন্নয়ন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। ঢাকার দুই লাখের বেশি ভূমি মালিক ভয়ংকর ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বৈষম্যমূলক ড্যাপের কারণে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা-২০০৮ অনুসারে ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

তারা জানান, রাজধানীকে বাসযোগ্য নগরী হিসাবে গড়ে তোলার ট্যাগ দিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্যে রাজউকের কতিপয় কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট ড্যাপ ২০২২-২০৩৫ প্রণয়ন করা হয়। ঢাকা শহরের বহুবিধ সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে একমাত্র ভবন নির্মাণের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে এটা করা হয়, যা নাগরিকদের মধ্যে বিশাল বৈষম্য সৃষ্টি করে। ড্যাপ ২০২২-২০৩৫ মেয়াদে ঢাকা শহরের মাত্র ২০ শতাংশ পরিকল্পিত এলাকা সু-উচ্চ ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা রেখে অবশিষ্ট ৮০ শতাংশ এলাকাকে অপরিকল্পিত ট্যাগ দিয়ে ভবনের উচ্চতা ও আয়তন হ্রাস করে দেওয়া হয়েছে। 

তারা বলেন, এ শহরের প্রকৃত ভূমি মালিকরা ভবন নির্মাণ করতে পারছেন না। নতুন করে কোনো ভবন নির্মাণ করতে গেলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। একই পরিমাণ জমিতে আগে যেখানে ১০ তলা ভবন হতো, এফএআর ইস্যুতে এখন সেখানে ৫ তলা ভবন পাওয়া যাচ্ছে। এতে ব্যাপক ক্ষতি ও চরম বৈষম্যের সম্মুখীন হচ্ছেন। এতে ঢাকা শহরের প্রকৃত ভূমি মালিকদের এ শহরের বাইরে বের করে দেওয়ার সূক্ষ্ম পরিকল্পনা করা হয়েছে। ত্রুটিপূর্ণ ড্যাপ ২০২২-২০৩৫ ও বৈষম্যমূলক ফারের (এফএআর) সংশোধন চান ভূমি মালিকরা।

এ প্রসঙ্গে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ড. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার যুগান্তরকে বলেন, ড্যাপসংক্রান্ত অভিযোগ পর্যালোচনা করে তা সংশোধনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। রিহ্যাব ফেয়ারে দেওয়া বক্তৃতার পরপরই তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন বিষয়টি সুরাহা করবে মন্ত্রণালয়। এখন রাজউকের হাতে আর কোনো কিছু করার নেই। 

তিনি বলেন, এফএআর এবং অনুমোদনহীন ভবনের অনুমোদন দেওয়াসহ বহুবিধ বিষয় সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত উপদেষ্টা সভা কমিটি বৈঠক করে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসার পর রাজউক তার আলোকে সার্বিক কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম