পাঠ্যবইয়ে আবু সাঈদের মৃত্যুর তারিখ ২টি!
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম
ফাইল ছবি
নতুন পাঠ্যবইয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কয়েকজন শহিদের নামে দেখা যায়। এতে শহিদদের তালিকায় ‘নাহিয়ান’ নামে একজনের নাম পাওয়া যায়। তবে আন্দোলনে শহিদের তালিকায় ওই নামে কাউকে পাওয়া যায়নি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডর (এনসিটিবি) ওয়েবসাইটে দেওয়া পাঠ্যবইয়ের অনলাইন সংস্করণে পরে ভুলটি সংশোধন করা হয়। নাহিয়ান বাদ দিয়ে ‘নাফিসা’ দেওয়া হয়।
এবার শহিদ আবু সাঈদের মৃত্যুর তারিখ নিয়ে নবম ও দশম শ্রেণির ইংরেজি পাঠ্যবইয়ে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন। সেইদিন সড়কে দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে থাকা তার ছবি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। দেশজুড়ে মানুষ শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসে। পরে তা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়।
১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। এনসিটিবি প্রণীত নবম-দশম শ্রেণির ইংরেজি বইয়ে ‘গ্রাফিতি’ শিরোনামে এক অধ্যায়ে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ শহিদ হন।
তবে একই শ্রেণির বাংলা সাহিত্য বইয়ে ‘আমাদের নতুন গৌরবগাথা’ শিরোনামে যে অধ্যায় যুক্ত করা হয়েছে সেখানে সঠিক তারিখ অর্থাৎ ১৬ জুলাই লেখা হয়েছে।
আবু সাঈদের মৃত্যুর তারিখের বিষয়ে ভুল তথ্য নিয়ে কথা বলেছেন শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক ফোরামের-বাশিফ সভাপতি মো. হাবিবুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা আবু সাঈদের শহিদ হওয়া। এই বিষয়ে যদি ভুল হয় তাহলে মনে হচ্ছে পাঠ্যপুস্তক যারা পরিমার্জন করেছেন তাদের মধ্যে কোনো সমন্বয় ছিল না।’
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান জানান, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন এবং বিভ্রান্তি সংশোধন করবেন।
এরআগে গত বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৪৪১টি বই পরিমার্জন করা হয়েছে। এনসিটিবির ওয়েবসাইটে বইগুলোর অনলাইন ভার্সন পাওয়া যাবে আজ (বুধবার) থেকেই। ৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিকের বাকি সব বই ও মাধ্যমিকের ৮টি বই পৌঁছে যাবে শিক্ষার্থীদের হাতে। এছাড়াও ১০ জানুয়ারির মধ্যে মাধ্যমিকের দশম শ্রেণির বই ও ২০ তারিখের মধ্যে সকল শ্রেণির বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে। ৪১ কোটির মধ্যে ৬ কোটি বই দেওয়া হয়ে গেছে এবং আরও ৪ কোটি বই দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও এসময় জানান তিনি।’ একই অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ঠিক সময়ে বই দিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, নতুন বছরের প্রথম দিনে সারা দেশের সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দিতে না পেরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে আমরা আন্তরিক দুঃখিত।