Logo
Logo
×

জাতীয়

কায়রোতে হতে পারে ইউনূস-শেহবাজ বৈঠক

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৫ পিএম

কায়রোতে হতে পারে ইউনূস-শেহবাজ বৈঠক

ছবি: সংগৃহীত

উত্তর আফ্রিকার দেশ মিসরের রাজধানী কায়রোতে চলতি ডিসেম্বরে উন্নয়নশীল ৮ মুসলিম দেশের জোট ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন বসছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ সম্মেলনে যোগ দেবেন। তিনি ১৭ থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মিসরে সফর করবেন।

এদিকে সম্মেলনে অংশ নিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ১৮ থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মিসরে সফর করবেন। ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে শেহবাজে সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন ইউনূস। এটা হবে দুই নেতার মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠক।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ কায়রোতে অনুষ্ঠেয় উন্নয়নশীল আট দেশের জোট ডি-৮ এর একাদশ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে ১৮ থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মিসরে সরকারি সফর করবেন বলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর ঘোষণা করেছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৭-২০ ডিসেম্বর মিসরে সরকারি সফর করবেন। আর সেখানে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে পারেন উভয় নেতা।

প্রতিবেদনে জানায়, কায়রোতে অনুষ্ঠিতব্য এই শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী অন্য নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর এখনো পর্যন্ত কোনো বৈঠক নিশ্চিতভাবে হতে চলেছে- সেই বিষয়ে ইঙ্গিত দেয়নি।

অবশ্য শেখ হাসিনা সরকারকে অপসারণের পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠকের দিকে সবার দৃষ্টি থাকবে।

উভয় নেতা চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে বৈঠক করেছিলেন এবং সেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রাথমিক প্ল্যাটফর্ম হিসাবে সার্কের পুনরুজ্জীবনের আহ্বান জানিয়েছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

পাকিস্তান ছাড়াও ডি-৮ জোটের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- মিসর, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান এবং তুরস্ক। এই প্ল্যাটফর্মে এসব দেশ মূলত অর্থনৈতিক সহযোগিতার দিকে মনোনিবেশ করে থাকে। এই সহযোগিতার মধ্যে অর্থনীতি ও আর্থিক বিষয়ের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়ন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানবিক উন্নয়ন, কৃষি, জ্বালানি পরিবেশ এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো বিষয়ও রয়েছে।

এবারের ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য বৈচিত্র্য ও উদ্ভাবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে আলোকপাত করার পাশাপাশি সদস্য দেশগুলো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং পারস্পরিক প্রবৃদ্ধি উৎসাহিত করতে একসঙ্গে কাজ করবে। তবে সম্মেলনে বিশেষ গুরুত্ব পাবে গাজা-লেবানন প্রসঙ্গ। এক্ষেত্রে গাজা ও লেবাননে মানবিক বিপর্যয় নিয়ে শীর্ষ নেতারা একটি বিশেষ সেশন করবেন। ওই সেশন থেকে মানবিক সংকট নিরসনে যৌথ প্রস্তাবনা প্রকাশ করবেন ডি-৮ শীর্ষ নেতারা।

১৯৯৭ সালের ১৫ জুন ইস্তাম্বুল ঘোষণার মাধ্যমে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে ডি-৮ গ্রুপটি যাত্রা শুরু করে। উন্নয়নশীল আট মুসলিম দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গড়ে তোলা হয় ডি-৮।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম