প্রবাসীদের ভোটের অধিকার দেওয়া হবে সরকারের সফলতা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৬ পিএম
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী দেড় কোটি বাংলাদেশি প্রবাসী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রক্রিয়াগত জটিলতা আর তথ্যের ঘাটতি থাকায় পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার আইনি ব্যবস্থা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। বিশাল এই নাগরিকদের জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকেও জানানো হয়েছে। মনে রাখতে হবে, দেড় কোটি প্রবাসীর ভোটের অধিকারই হবে সরকারের সফলতা। তাছাড়া দূতাবাসগুলোকেও সংস্কারের আওতায় আনা উচিত।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘আগামী নির্বাচনে প্রবাসী নাগরিকদের অংশগ্রহণের প্রক্রিয়া’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
সাপ্তাহিক সুরমা লন্ডনের সম্পাদক শামসুল আলম লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, অতিশ দিপংকর ইউনিভার্সিটির ভিসি ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গির আলম, নির্বাচন কমিশনের এনআইডি পরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবির, প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার, মালয়েশিয়া চেম্বারের পরিচালক মাহবুব আলম প্রমুখ।
শফিক রেহমান বলেন, বিদেশে বাংলাদেশের যেসব দূতাবাস রয়েছে, তারা আসলে কি কাজ করে এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ করা উচিত। দেশের বিভিন্ন খাতে এখন সংস্কার হচ্ছে, বিদেশি দূতাবাসগুলোকেও সংস্কারের মধ্যে আনা উচিত।
তিনি বলেন, ইংল্যান্ডের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছিল। অথচ আমার সন্দেহ, তিনি বাংলা লিখতে পারেন কি না। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একটি বঙ্গবন্ধু চেয়ারও আছে। আমার বলব, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এখনই চিঠি লেখা, যাতে তারা বঙ্গবন্ধু চেয়ার অপসারণ করে এবং শেখ হাসিনার ডক্টরেট ডিগ্রি বাতিল করে।
ড. জাহাঙ্গির আলম বলেন, ৪১টি দেশে প্রবাসীদের ভোটাধিকারের অধিকার রয়েছে। আমাদের দেশেও সেটা করার সক্ষমতা রয়েছে। আমরা চাই বিশ্বের ৪২তম দেশ হোক বাংলাদেশ।
মাহিন সরকার বলেন, প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানো এবং তাদের ক্ষেত্রে যত সমস্যা রয়েছে তার সমাধান করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে। ইতোমধ্যে প্রবাসীদের কি ধরনের সমস্যা রয়েছে, দেশের বাইরের সমস্যা নিয়েও কথা বলেছি।