পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় স্থাপনের প্রস্তাব আইন সমিতির

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ পিএম

ছবি: সৌজন্য
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রমে গঠিত কমিশনসমূহের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বাংলাদেশ আইন সমিতি। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মোতাহার হোসেন ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশের বিচারবিভাগ সংস্কারে সমিতির পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ রূপরেখা তুলে ধরা হয়।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য মাসদার হোসেন, তানিম হোসেন শাওন, কাজী মাহফুজুল হক সুপণ ও আরমান হোসাইন মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থেকে সংস্কার প্রস্তাব গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ আইন সমিতির অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান সভা সঞ্চালনা করেন।
বাংলাদেশ আইন সমিতির পক্ষে আইসিটি ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, সাবেক সিনিয়র জেলা জজ ড. শাহজাহান সাজু, একেএম আফজাল উল মুনীর অ্যাডভোকেট সৈয়দ আব্দুল্লাহ নাঈম, সাবেক ডিএজি এবিএম ওয়ালিউর রহমান খান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাইজুল্লাহ ফায়েজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুজ্জামান ভূইয়া, ব্যারিস্টার সালেহ আকরাম সম্রাট, অ্যাক্টিভিস্ট ও আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাইয়্যেদ আব্দুল্লাহসহ অন্যান্য সদস্যগণ বক্তব্য রাখেন।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশের আইনাঙ্গনে বিচার ও বিচার ব্যবস্থা সম্পৃক্ত বহুমুখী পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ আইন সমিতির সদস্যদের উপস্থিতিতে বিচার বিভাগ সংস্কারে বাস্তবভিত্তিক সুপারিশ তুলে ধরা হয়। বক্তাগণ বিচার বিভাগ সংস্কারে পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় স্থাপন, স্বাধীন প্রসিকিউশন সার্ভিস গঠন, সুপ্রীম কোর্ট এবং অধস্তন আদালতের কেস ম্যানেজমেন্ট সংস্কার, বিচারকদের বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধাদি অন্যান্য সার্ভিসের সঙ্গে সমন্বয় করে যৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করা, দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, পিপি-জিপিদের সম্মানী যৌক্তিকহারে বর্ধিত করা, প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল বিভাগীয় পর্যায়ে স্থাপন, সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া সংশোধন করে বেঞ্চের সাথে বারের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে এবং যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার পরিধি বৃদ্ধি, ভূমি ব্যবস্থাপনায় বিচারিক আদালতের এখতিয়ার বৃদ্ধিসহ অন্যান্য বাস্তবভিত্তিক প্রস্তাব তুলে ধরেন। এছাড়াও, লিখিত প্রস্তাব কমিশন সদস্যদের নিকট দাখিল করা হয়।
আইনাঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা দেশবরেণ্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত প্যানেল আলোচকদের সাথে সভায় বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশ আইন সমিতির সদস্য সম্মানিত আইনের শিক্ষকবৃন্দ, দেওয়ানী ও ফৌজদারী বিচারে অভিজ্ঞ বিজ্ঞ বিচারকবৃন্দ, আইনজীবীবৃন্দ, আইনের তরুণ শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং আইন ও বিচার সম্পৃক্ত অন্যান্য পেশাজীবীগণ উপস্থিত থেকে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন। বক্তাদের বক্তব্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার রূপরেখা তুলে ধরে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্ববান জানানো হয়।