অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন
সমন্বয়কদের গাড়িচাপা দেওয়ার চেষ্টা স্বৈরাচারের দোসরদের পরিকল্পিত
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭ এএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়ি বহরে ট্রাক চাপা দেওয়ার চেষ্টা বিগত ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার সরকারের দোসরদের পরিকল্পিত বলে মনে করে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। এ ঘটনা তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহস্র শহীদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। কিন্তু অতীব দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সাম্প্রতিক কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে এবং কিছু কিছু দুর্বৃত্ত ও সমাজবিরোধী ব্যক্তির আচরণ ও দুর্ঘটনা অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের খুবই ব্যথিত করেছে।
‘গতকাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম শহিদ অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামের কবর জেয়ারত করে ফেরার পথে পথিমধ্যে চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে তাদের গাড়ি বহরে ট্রাক চাপা দেওয়া হয়। বাইক নিয়ে আটকানোর চেষ্টা করলে ট্রাক ড্রাইভার তাদেরকেও চাপা দেয়। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কৃপায় তারা বেঁচে ফিরছে। এই ঘটনা বিগত ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার সরকারের দোসররা পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাদের ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।’
এতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর দেশের দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপাকে ফেলার ষড়যন্ত্র বলেও মনে করা হচ্ছে। এটি একটি পরিকল্পিত আক্রমণের ঘটনা এবং এর সাথে আরো অনেক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারেন। তাই অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনার অনুরোধ করছে। ইতোমধ্যে ২ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গ্রেফতার হয়েছে। বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল তাদের ওপর বেআইনিভাবে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এ ঘটনা তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।