ছবি : সংগৃহীত
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, কাজ করার জন্য আমাদের হাতে মাত্র তিন মাস সময় আছে৷ এই তিন মাসে আপনারা দেখবেন আমরা অনেক অগ্রগতি করব৷এখানে দুই-একটি বিষয় থাকতে পারে যেটি স্বল্প সময় অগ্রগতি করা সম্ভব হবে না।
সোমবার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি৷
সচিব বলেন, ইউএসএ থেকে একটি টিম এসেছিল৷ তারা বাংলাদেশে শ্রমিকদের কী পরিস্থিতি সেটা জানতে চেয়েছে৷
সচিব বলেন, আইএলও’র কিছু রোডম্যাপ রয়েছে৷ এর বাইরে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ইউএসএ’র ১১ দফার একটি ইস্যু রয়েছে৷ ১১ দফা তারা আমাদেরকে দিয়েছিল৷ এই ১১ দফা নিয়ে আমরা খুব খোলামেলা কথা বলেছি৷ ইউএসএ থেকে যে টিম এসেছে সেখানে ইউএস অ্যাম্বাসিসহ বেশকিছু বায়াররাও এসেছে৷
সফিকুজ্জামান বলেন, ১১ দফার বাইরেও বর্তমানে অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. ইউনূস ইউএন অ্যাসেম্বেলিতে গিয়েছিলেন৷ সেখানে আইএলও’র মহাপরিচালকের সঙ্গে তার একটি মিটিং হয়েছিল৷এছাড়াও আমেরিকার অনেক ব্রান্ড বায়ার সেখানে তার সঙ্গে মিটিং করেছিলেন৷সেই মিটিংয়ে বাংলাদেশের শ্রম আইন, লেবার রাইটসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা একটি প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিলেন৷
তিনি আরও বলেন, গতকাল বিকালেও লেবার ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা যমুনাতে আমাদের সঙ্গে লম্বা সময় বৈঠক করেছেন৷ সেখানেও এই সমস্ত বিষয় উঠে এসেছে৷
শ্রম সচিব বলেন, আপনারা জানেন, জেনেভাতে আইএলও’র গর্ভনিং বডির যে বৈঠক হয়েছিল সেখানে আমরা আইন উপদেষ্টার নেতৃত্বে গিয়েছিলাম৷ সেখানেও আমরা কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিলাম৷এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পরবর্তী গভর্নিং বডির মিটিংয়ের আগেই আমাদের শ্রম আইনটি সংশোধন করব৷ এটা প্রক্রিয়ার মধ্যে চলছে৷ সেখানে এই ১১ দফা এবং আইএলও’র রোড ম্যাপের প্রতিফলন থাকবে৷
সচিব আরও বলেন, এসব বিষয়ে আমরা এর আগে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছি৷ সেই বৈঠকে আমরা ১৮ দফা নিয়ে আলোচনা করেছি৷ সেখানে এই ১১ দফাও আলোচনা হয়েছে৷এ বিষয়টি আজকের ইউএসএ প্রতিনিধি দল প্রশংসা করেছে৷ প্রধান উপদেষ্টাও এ বিষয়টি প্রশংসা করেছেন৷
তিনি বলেন, এখন কাজ করার জন্য আমাদের হাতে মাত্র তিন মাস সময় আছে৷ এই তিন মাসে আপনারা দেখবেন আমরা অনেক অনেক অগ্রগতি করব৷ সেখানে দু-একটি বিষয় থাকতে পারে যেটি স্বল্প সময় অগ্রগতি করা সম্ভব হবে না৷
সম্প্রতি লেবার রিফর্ম কমিশন গঠন হয়েছে৷ এই কমিশন আমাদের কাজকে অনেকটা সহজ করে দেবে৷
আন্তর্জাতিকভাবে বায়াররা ট্রেড ইউনিয়ন এবং লেবার রাইটস নিয়েই কথা বলেন উল্লেখ করে সচিন বলেন, এসব ইস্যুতে ইউএস প্রতিনিধি দল আমাদেরকে সাপোর্ট দেওয়ার কথা জানিয়েছে৷ তারা বলেছেন ‘আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই’৷ আমরা তাদের বলেছি, ‘আমরা তাদেরকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করব৷’ এছাড়া ১১ দফার যে বিষয়টি আছে সেটা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে৷ এটা তারা স্বচ্ছতার সঙ্গে করতে বলেছে৷ যেহেতু বর্তমানে একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার রয়েছে সেহেতু আমরা আশা করছি এই কাজগুলো স্বচ্ছতার সঙ্গেই করা হবে৷
তিনি বলেন, শ্রমখাতে আইএলও’র রোড ম্যাপ এবং ইউএসএ’র ১১ দফার মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই৷ এখানে ট্রেড ইউনিয়ন, কাজের পরিবেশ এবং ওয়াশের ইস্যুও রয়েছে৷ আমরা যে ১৮ দফা নিয়ে কাজ করছি এই ১১ দফার মধ্যে সবকিছুই তার মধ্যে আছে৷