মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মাল্টি-পারপাস হলে রোববার ‘গ্রামীণ পরামর্শ সেবা মডেলের ফলাফল ও সুপারিশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বেসরকারি সংস্থা উত্তরণ ও এফআইভিডিবি’র যৌথ উদ্যোগে জার্মানভিত্তিক সংস্থা বিএমজেট’র আর্থিক সহায়তায় ওয়েল্ট হাঙ্গারহেলফি বাংলাদেশের কারিগরি সহযোগিতায় সিরাজগঞ্জ জেলার চরাঞ্চলে চলমান ‘রুরাল অ্যাডভাইজারি সার্ভিসেস ফর উইমেন এম্পাওয়ারমেন্ট’ প্রকল্প এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালার মূল লক্ষ্য ছিল কমিউনিটি সার্ভিস প্রোভাইডারের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীদেরকে অব্যাহতভাবে কৃষি সেক্টরের বিভিন্ন সেবা প্রদানের কৌশল যা ‘গ্রামীণ পরামর্শ সেবা মডেল’ নামে পরিচিত তার শিখন ও ফলাফলসমূহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শেয়ার করা এবং তাদের মূল্যবান সুপারিশ সংগ্রহ করা।  এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৩১০০ জন নারী কাজ করছেন। ওয়েল্ট হাঙ্গারহেলফি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর পংকজ কুমারের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর এবং জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।  এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সরকারি অধিদপ্তরের আমন্ত্রিত কর্মকর্তা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা, বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানির প্রতিনিধিরা, ওয়েল্ট হাঙ্গারহেলফি, এফআইভিডিবি, উত্তরণের কর্মী ও সাংবাদিকরা। 

কর্মশালায় স্বাগত বক্তৃতা করেন যৌথভাবে উত্তরণ সংস্থার পার্টনারশিপ সমন্বয়কারী ফাতিমা হালিমা আহম্মেদ ও এফআইভিডিবি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বজলে মোস্তাফা রাজী।  ‘রুরাল অ্যাডভাইজারি সার্ভিসেস ফর উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট’ প্রকল্প এবং গ্রামীণ নারীদের মাইক্রো স্মল ও মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ (এমএসএমই) উন্নয়নে ‘গ্রামীণ পরামর্শ সেবা মডেল’-এর কর্মসূচি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও ফলাফল সম্পর্কে মূল আলোচনা উপস্থাপন করেন ওয়েল্ট হাঙ্গারহেলফি বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ ড. ফাতেমা নাসরিন জাহান।  কি নোট উপস্থাপন করেন কনসাল্ট্যান্ট সানাইয়া ফারহিন আনসারী।