জাপানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার চুক্তি করবে সরকার
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৭ পিএম
জাপান থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বা অস্ত্র কিনতে চুক্তি করতে যাচ্ছে ঢাকা। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন বলে জানা গেছে।
জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি হস্তান্তর বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব পাঠিয়েছে জাপান।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জাপানের পাঠানো প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করে চুক্তিটির ওপর মতামত দেওয়াসহ চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে অনুরোধ করে চিঠি পাঠিয়েছে— যার একটি অনুলিপি দেখেছে গণমাধ্যম।
এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনাপত্তি দিয়েছে।
বাংলাদেশের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে চুক্তির খসড়া সংশোধন করে পাঠিয়েছে জাপান।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে— যা দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যেও বিদ্যমান।
দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সমন্বিত অংশীদারিত্বকে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করার লক্ষ্যে ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের সময় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।
এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যকার সামরিক সম্পর্ক আরও জোরদার করবে।
কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে সমরাস্ত্র বিক্রির আগ্রহ প্রকাশ করছে জাপানের সামরিক সরঞ্জাম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। এরই মধ্যে জাপানের একাধিক সামরিক সরঞ্জাম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন।
গত জুনে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে এই চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাংলাদেশকে অনুরোধ করে জাপান।
যুক্তরাষ্ট্রও বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষায়িত প্রতিরক্ষা চুক্তি জিসোমিয়া (দ্য জেনারেল সিকিউরিটি অফ মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট) ও আকসা (অ্যাকুইজিশন ক্রস-সার্ভিসিং অ্যাগ্রিমেন্ট) সইয়ের বিষয়ে আলোচনা করছে। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত জিসোমিয়া সইয়ে আগ্রহের কথা জানিয়েছে।
বাংলাদেশের অস্ত্রের প্রধান সরবরাহকারী চীন ও রাশিয়া। প্রতিবেশী ভারত থেকেও বাংলাদেশ অস্ত্র আমদানি করে থাকে।
বাংলাদেশের আর্থিক সংগতি বাড়তে থাকায় অস্ত্র বিক্রি করতে আগ্রহী দেশের সংখ্যাও বাড়ছে। ইতোমধ্যে ইতালি, তুরস্ক, সুইডেন, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্র বিক্রি করার প্রস্তাব আসছে।