সাদপন্থিদের অবস্থানে তীব্র যানজট, প্রধান উপদেষ্টার আশ্বাসে ছাড়লেন সড়ক
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১২ এএম
তাবলিগ জামাতের দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের বর্তমান মুরব্বি মাওলানা সাদকে ছাড়া এবারের বিশ্ব ইজতেমা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তার অনুসারীরা। সাদকে ইজতেমায় আসতে দেওয়ার দাবিতে কাকরাইল মসজিদের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন তারা। এতে ওই সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে এবং চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।
সাদপন্থিরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাসে সড়ক ছেড়েছেন। মাওলানা সাদকে ইজতেমায় আসতে দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার সকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নেন তারা।
এর আগে ১৫ নভেম্বর লাখো মুসল্লির জমায়েত নিয়ে কাকরাইল মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন সাদপন্থিরা। এ দিন সকাল ৮টার পর সাদপন্থিদের একটি বিশাল দল কাকরাইলের মারকাজ মসজিদে প্রবেশ করে সেখানে অবস্থান নেন।
এদিকে আগামী বছর দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ও কাদের অধীনে হবে তা চুড়ান্ত করা হয়েছে। প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি শুরায়ি নেজামের অধীনে হবে এবং দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি সাদপন্থিদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সভাপতি তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন যে, বহির্বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে বিশ্ব ইজতেমা দীর্ধদিন ধরে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবারের বিশ্ব ইজতেমার আয়োজনকে আরও সুন্দর ও মহিমান্বিত করতে হবে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়েরের অনুসারী, শুরায়ি নেজাম) আয়োজন করবেন ও আগামী ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (মাওলানা সাদের অনুসারীরা) আয়োজন করবেন।
বিশ্ব ইজতেমার মাঠ হস্তান্তর প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, প্রথম পর্বের আয়োজনকারীরা তাদের আয়োজন শেষে ইজতেমার মাঠ বিভাগীয় কমিশনার ঢাকার নেতৃত্বে গঠিত বিশ্ব ইজতেমার মাঠ প্রস্তুতি সংক্রান্ত কমিটিকে ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টার মধ্যে বুঝিয়ে দিবেন। আর দ্বিতীয় পর্বের আয়োজনকারীরা ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে উক্ত কমিটির থেকে ইজতেমার মাঠ বুঝে নিবেন এবং ইজতেমা শেষে ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কমিটির কাছে মাঠ হস্তান্তর করবেন।
এছাড়াও বিশ্ব ইজতেমার মাঠ প্রস্তুতি, আইন- শৃঙ্খলা রক্ষা ও সার্বিক কার্যক্রম তদারকি সংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হয় বলেও জানা যায় বিজ্ঞপ্তিতে।