ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন অস্ট্রিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ক্যাথারিনা উইজার।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত উইজার বলেন, পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে
অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে চায়। এর অংশ হিসেবে অস্ট্রিয়ার কোম্পানিগুলোও বাংলাদেশে
বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
ক্যাথারিনা উইজার নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত, তবে এর পাশাপাশি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অস্ট্রিয়া সরকার বাংলাদেশে
সংস্কারকাজে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করবে বলে জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংস্কার বাস্তবায়ন এবং ভোটার তালিকা প্রস্তুত
হলেই বাংলাদেশ ভোটের তারিখ নির্ধারণ করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বেশ কয়েকটি অস্ট্রিয়ান কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ
করতে আগ্রহী, যার মধ্যে একটি কোম্পানি ঢাকার উপকণ্ঠে একটি কারিগরি স্কুল স্থাপন করতে
চায়। কিন্তু অস্ট্রিয়ান আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্প ঋণ পেতে তাদের বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের
কাছ থেকে কিছু সহযোগিতার প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিষয়টি
খতিয়ে দেখতে বলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের সন্ত্রাস দমন ব্যবস্থা, আন্তঃসীমান্ত সমস্যা, মানব
পাচার, আইনি অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সংস্কার এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা
পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূত উইজার বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় অভিবাসনের জন্য অস্ট্রিয়ার একটি
দীর্ঘমেয়াদি নীতি রয়েছে। বাংলাদেশিরা পশ্চিম ইউরোপের ধনী দেশগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ বৃহত্তম
অভিবাসী সম্প্রদায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অস্ট্রিয়ার উচিত আরও বাংলাদেশিদের আইনি প্রক্রিয়ায়
অভিবাসনের ব্যবস্থা করা। এতে বাংলাদেশ থেকে মানব পাচার বন্ধ হবে।
বৈঠকে সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং অস্ট্রিয়ার
অনারারি কনসাল তাসবিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।