Logo
Logo
×

জাতীয়

সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবি

প্রতিদিন সড়কে প্রাণ যাচ্ছে ১৪ জনের

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ পিএম

প্রতিদিন সড়কে প্রাণ যাচ্ছে ১৪ জনের

‘রোডক্র্যাশ (সড়ক দুর্ঘটনা) আমার সাজানো-গোছানো পরিবারকে ভয়ংকর ট্রমার দিকে নিয়ে গেছে। শুধু বাসচালকের অসম প্রতিযোগিতার কারণে আমার মেয়ে অকালে মারা গেল। অথচ তাকে নিয়ে আমাদের কত স্বপ্ন ছিল। এক নিমিষেই সব শেষ!’কথাগুলো বলছিলেন ৯ অক্টোবর রাজধানীর প্রগতি সরণিতে নিহত তাসনিম জাহান আইরিনের বাবা সাইফুল আলম। 

রোববার ‘ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমবারেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিক্টিমস’ উপলক্ষ্যে রাজধানীর বিআরটিএ ভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় কান্নাজর্জরিত কণ্ঠে তিনি কথাগুলো বলেন।

সাইফুল আলম আরও বলেন, ‘বাসচালকদের অসম প্রতিযোগিতার কারণে ঢাকা শহরে বেশি রোডক্র্যাশ হয়। তাই রোডক্র্যাশ বন্ধে জরুরিভাবে এমন পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন যাতে বাসচালকরা অসম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত না হন।’

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ প্রতিবছরের মতো এবারও হতাহতদের স্মরণে ‘ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমবারেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিক্টিমস’ দিবস পালন করে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য ‘রিমেম্বার, সাপোর্ট, অ্যাক্ট’ অর্থাৎ ‘আমরা স্মরণ করি যারা রোডক্র্যাশে মারা গেছেন তাদের, সহায়তা নিয়ে থাকতে চাই আহতদের পাশে এবং জীবন বাঁচাতে নিতে চাই কার্যকর উদ্যোগ’।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী ও গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ড. মো. শরিফুল আলম।

সভায় বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন এক হাজারের বেশি শিশু এবং ৩০ বছরের কম বয়সি যুবক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রাণ হারান প্রায় ১৪ জন। অথচ এই মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। জাতিসংঘ নির্ধারিত নিরাপত্তা কৌশল অনুসরণ করে এই প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু কমানো সম্ভব। 

এজন্য প্রয়োজন সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন। তারা আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কার আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আমাদের দাবি, সড়ক নিরাপত্তার সংস্কার ভাবনায় সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোড সেফটি অ্যান্ড ইনজুরি প্রিভেনশন প্রোগ্রামের ম্যানেজার মোহাম্মদ ওয়ালী নোমান।

মতবিনিময় সভায় হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ইকবাল হোসাইন, বিআরটিএ’র রোড সেফটি পরিচলাক গোলাম মাহবুব ই রাব্বানি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত¡ ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী। 

বাংলাদেশ অর্থোপেকিড সোসাইটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম, রোড সেফটি অ্যান্ড ইনজুরি প্রিভেনশন প্রোগ্রামের পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান ভুঁইয়া, ডা. আহমেদ খাইরুল আবরার, ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির প্রতিনিধি, বাংলাদেশ রোড সেফটি কোয়ালিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম