বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কোনো একক ইস্যু বা এজেন্ডায় সীমাবদ্ধ নয়
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ পিএম
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক নির্দিষ্ট কোনো এজেন্ডায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর পরিধি বহুমুখী ও বিস্তৃত। রোববার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৪’ শিরোনামে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের এক অধিবেশনে এ কথা বলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
বেসরকারি গবেষণা-প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এ সম্মেলনে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কোনো সিঙ্গেল ইস্যু বা এজেন্ডায় সীমাবদ্ধ নয়। এই সম্পর্ক বহুমুখী ও বিস্তৃত। দুই দেশ একে অপরের প্রতি আগের চেয়ে অনেক বেশি নির্ভরশীল। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে খুবই গঠনমূলক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা একে অপরের প্রতি পারস্পরিক নির্ভরশীল।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারত দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে এবং বিশ্বাস করে যে এ দুই দেশের শান্তি, নিরাপত্তা, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি পরস্পরের সঙ্গে জড়িত।
বহুমুখী সম্পর্কের প্রতিফলন হিসেবে বাণিজ্য, পরিবহণ ও জ্বালানি সংযোগ এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পৃক্ততার ক্রমাগত অগ্রগতির ওপর জোর দেন প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেন, রাজনৈতিক পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে আমাদের পরস্পর নির্ভরতা ও দ্বিপাক্ষিক মঙ্গলের বাস্তবতা যার যার অবস্থান থেকে পুনর্ব্যক্ত করতে হবে।
সম্প্রতি ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করেছে বাংলাদেশ। বিষয়টিকে ভারতীয় হাইকমিশনার দ্বিপাক্ষিক বিনিময়ের অগ্রগতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এছাড়া পেট্রাপোল-বেনাপোল সমন্বিত চেকপোস্টের অবকাঠামো বিবর্ধনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতাকে তিনি বিমসটেকের মতো কাঠামোর অধীনে আঞ্চলিক একীকরণের পরিকল্পনার ক্ষেত্রে একটি নোঙর হিসাবে বর্ণনা করেন।
প্রণয় ভার্মা বলেন, সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স দুই দেশের সম্পর্ক গভীর করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। আমাদের সম্পর্ক আগের চেয়েও বেশি একে অপরের প্রতি নির্ভরশীল।
হাইকমিশনার শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য আমাদের যৌথ আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমে উভয়পক্ষের সাধারণ জনগণের উপকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।