নিয়োগে নামকাওয়াস্তে মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা হয়: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১১ এএম

চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রেও নামকাওয়াস্তেমনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা করা হয় বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে এখনো সাইকোমেট্রিক পরীক্ষার নিজস্ব টুলস তৈরি হয়নি। জনসংখ্যার দিক থেকে অগ্রগামী হলেও এখানে আইকিউ পরীক্ষার নিজস্ব কোনো টুলস নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে শনিবার আয়োজিত সেকেন্ড ইন্টারন্যাশনালে সাইকোমেট্রিক কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের দেশে বাস্তব কাজ করার মতো নিজস্ব কোনো সাইকোমেট্রিক টেস্ট নেই। ফলে বিদেশে তৈরি নানা টুলস দিয়ে আমাদের কাজ চালাতে হয়।মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ের সাংস্কৃতিক ভিন্নতা অনেক বেশি। আমাদের নিজস্ব পরীক্ষা পদ্ধতি তৈরি করা উচিত। এতে আমরা সহজেই এসব টেস্ট প্রয়োগ করতে পারব। তা অধিকতর নির্ভরযোগ্য হবে।
কনফারেন্সে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড এগ্রিকালচারের উপ-উপাচার্য ড. মুহাম্মদ মাহমুদুর রহমান বলেন, আমাদেরমনস্তাত্ত্বিক বৈকল্যের কারণে কিশোর গ্যাং, মাদক নেওয়াসহ নানা ঘটনা ঘটছে। আমরা নানা জায়গায় সংস্কারের কথা বলছি। কিন্তু কীভাবে একটি সুস্থ স্বাভাবিক জীবন পেতে পারি, তারও সংস্কার প্রয়োজন। আমরা সবাইকে একটি অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতায় ফেলে দেই। তা না করে যদি কার কাজ করার আগ্রহ আছে, কতটা ভালো, কেমন দেশপ্রেম আছে, এসব বিবেচনায় মানুষ নির্বাচন করি, তাহলে আরও স্বাস্থ্যকর হবে।