বন্ধ চিনিকল চালুর জন্য বরাদ্দ ১২০ কোটি টাকা: শিল্প উপদেষ্টা
দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, দেশের বন্ধ চিনিকলগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে।ইতোমধ্যেই চিনিকলগুলো চালু করার জন্য ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং আরও ১শ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ চিনিকল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আদিলুর রহমান খান বলেন, বন্ধ চিনিকলগুলো চালু করার জন্য ইতোমধ্যেই একটি টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ নিয়ে কাজ করছে টাস্কফোর্স কমিটি।
বন্ধ হওয়া চিনিকলগুলো চালুর ব্যাপারে দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ চিনিকল ও রংপুরের শ্যামপুর চিনিকলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে জানিয়ে শিল্প উপদেষ্টা বলেন, সেতাবগঞ্জ একটি সম্ভাবনাময় জায়গা। এখানে যে চিনিকলটি বন্ধ করা হয়েছিল, আমরা সেটা তাড়াতাড়ি চালুর জন্য চেষ্টা করছি।
সেতাবগঞ্জ চিনিকলের বেদখল হওয়া জমি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানকার ছাত্র-জনতার দাবির প্রেক্ষিতে যত দ্রুত সম্ভব সমস্ত ভূমি দস্যুদের দমন করে আমরা জমিগুলো উদ্ধার করব।
সেতাবগঞ্জ চিনিকলের যন্ত্রাংশ অন্য চিনিকলে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কখনও কখনও বন্ধ চিনিকলের যন্ত্র দিয়ে যেখানে চালু করা আছে, সেখানে নিয়ে গিয়ে চালু করা হয়। যখন এখানে সিদ্ধান্ত হবে যে, এটা চালু করব, তখন সমস্ত যন্ত্রপাতি দিয়েই তো মিল চালু করা হবে। তাই এখানে যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে।
এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, চিনিকল চালুর আগে আখ উৎপাদনের প্রয়োজন। কারণ আখ না হলে মিলটি চালু করা যাবে না। তাই কৃষকদের আখ চাষের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, মিলটি চালু করার চেষ্টার একটা ভালো পরিসমাপ্তি ঘটবে আখ চাষের মধ্য দিয়ে।
বন্ধ চিনিকলটি পরিদর্শন শেষে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান আখচাষি, চিনিকলের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
সভায় আখচাষি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের সদস্যরা সেতাবগঞ্জ চিনিকল চালুর ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবি জানালে শিল্প উপদেষ্টা বলেন, চেষ্টা করা হচ্ছে। সময় হলেই বলা যাবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. লিপিকা ভদ্র, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, সেতাবগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল বাশার, চিনিকলের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আখচাষি, বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের সদস্যরা।