নিটোরে চিকিৎসাধীন আহতরা ১১ ঘণ্টা ধরে রাস্তা আটকে আন্দোলনে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৯ এএম
গভীর রাতেও রাজধানীর আগারগাঁও থেকে শ্যামলীমুখী সড়ক বন্ধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন এবং পাশের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আহতরা।
বুধবার রাত ১১টা ২০ মিনিটেও এক পাশের রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করছেন তারা। আহতরা হুইল চেয়ারে, আবার কেউ ভাঙা পা নিয়েই একটা চেয়ার পেতে বসে আছেন। তাদের দাবি-উপদেষ্টারা না আসা পর্যন্ত রাস্তা ছাড়বেন না এবং হাসপাতালের ভেতরেও ফিরে যাবেন না তারা।
আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী জানান, সমন্বয়করা আমাদের আসবে বলে আশা দিয়েও এখনো আসেনি। তাদের আসা ছাড়া আমরা রাস্তা ছেড়ে যাব না। আমরা আমাদের দাবি ঠিক করেছি। তারা এলে সেই দাবি আমরা উপস্থাপন করব। তারা আসা ছাড়া আমরা হাসপাতালে ও ফিরে যাব না।
৪ উপদেষ্টাকে পঙ্গু হাসপাতালের সামনে থাকার আলটিমেটাম
রাত ১০টার মধ্যে স্বাস্থ্য, তথ্য, সমাজকল্যাণ ও ক্রীড়া উপদেষ্টাকে পঙ্গু হাসপাতালের সামনে উপস্থিত হওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছেন আহতরা।
এদিকে রাতে পঙ্গু হাসপাতালের সামনে অবস্থানরত আহতদের সঙ্গে কথা বলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। সমস্যা সমাধানে উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, তিন মাস পর আমার ভাইয়েরা এখনো রাস্তায় আছে, এটাই আমার জন্য সবচেয়ে লজ্জার। এই সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যায়, সে জন্য আমাকে একটু সময় দিন।
এর আগে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পঙ্গু হাসপাতাল পরিদর্শনে যান ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক ছাড়াও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। ওই সময় তারা চতুর্থ তলার পুরুষ ওয়ার্ডে এক ঘণ্টারও বেশি সময় নিয়ে আহতদের দেখলেও তৃতীয় তলায় চিকিৎসাধীন অন্যদের পরিদর্শনে যাননি। এ নিয়ে তৃতীয় তলার ওয়ার্ডে থাকা আহতরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
পরবর্তীতে তারা নিচে এসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি গাড়ি আটকে দেন। ধারণা করা হচ্ছিল সেই গাড়িটি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম ব্যবহার করতেন। তবে পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে ওই সময় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের গাড়িতে উঠে হাসপাতাল ত্যাগ করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। পরবর্তীতে বিষয়টি বুঝতে পেরে আহতরা আগের গাড়িটি ছাড়াও পুলিশের একটি প্রোটোকল গাড়ি আটকে দেন। একপর্যায়ে সুচিকিৎসার দাবিতে দুপুর সোয়া ১টার পর তারা রাস্তায় নামেন।