Logo
Logo
×

জাতীয়

সেমিনারের তথ্য

১৮ কোটি মানুষের সেবায় ৫০ ভাস্কুলার সার্জন

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০০ পিএম

১৮ কোটি মানুষের সেবায় ৫০ ভাস্কুলার সার্জন

ধূমপান, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, রক্তে অতিরিক্ত চর্বি, বাড়তি ওজন ও পরিশ্রমের অভাবসহ বিভিন্ন কারণে রক্তনালী ব্লক হয়ে থাকে। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে মৃতু্যর কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ তথা হৃদরোগ এবং রক্তনালীর ব্লক। রক্তনালী ব্লক হলে হাঁটাহাঁটির সময় পায়ে ব্যথা হয়, গ্যাংরিন বা পচন ধরে। চিকিত্সার এক পর্যায়ে পা কেটে ফেলতে হয়। রোগী পঙ্গুত্ববরণ করেন। এভাবে প্রতিবছর অসংখ্য রোগীর পা কেটে ফেলতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভাসকুলার সার্জারি চিকিত্সার প্রসার দরকার হলেও সারা দেশে ১৮ কোটি মানুষের জন্য মাত্র ৫০ ভাসকুলার সার্জন রয়েছেন।

মঙ্গলবার রাজধানীর কল্যাণপুরে ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘ভাসকুলার অ্যাপ্রোচ টু প্রিভেন্ট এমপুটেশন' শীর্ষক কন্টিনিউয়াস মেডিকেল এডুকেশন (সিএমই) সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য জানান।

সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইবনে মেডিকেল কলেজের ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জিএম মকবুল হোসেন ও সহকারী অধ্যাপক ডা. একেএম জিয়াউল হক। 

প্রধান অতিথির বক্তেব্যে ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাজেদ আব্দুল খালেক বলেন, চিকিত্সার বিভিন্ন বিষয়ে সাব-স্পেশালিটি বাড়ছে। কিন্তু ভাসকুলার চিকিত্সা নতুন বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে। দেশে বেসরকারিভাবে একমাত্র ইবনে সিনা মেডিকেলের ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের অধীনে কার্বন-ডাইঅক্সাইড এনজিওগ্রাম চালু রয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেডিকেল কলেজটির পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম ভাসকুলার সার্জারিতে ক্যারিয়ার গড়তে মেডিকলে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করেন। সরকারি-বেসরকারিভাবে মেডিকেল কলেজগুলোকে বিশেষজ্ঞ তৈরিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

ভাসকুলাল সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জিএম মকবুল হোসেন বলেন, ধূমপান, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, রক্তে অতিরিক্ত চর্বি, বাড়তি ওজন ও পরিশ্রমের অভাবসহ বিভিন্ন কারণে রক্তজমাট বেধে শরীরে রক্তনালী ব্লক হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে মাত্র ৪ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে রক্তনালী চালু না করলে পা নষ্ট হতে পারে। দেশে ১৮ কোটি মানুষের হাত-পায়ের সংখ্যা ৭২কোটি। অনেকের রক্তনালীর ব্লকজনিত ভাসকুলার সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু চিকিত্সা অপ্রতুল হওয়ায় রোগীরা সঠিক সময়ে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন। এতে এমপুটেশনে (অঙ্গচ্ছেদ) অনাকাঙ্খিত পঙ্গুত্ব বাড়ছে।

এই বিশেষজ্ঞ আরও জানান রক্তনালীর আল্ট্রাসনোগ্রাম, এনজিওগ্রাম পরীক্ষা করে ব্লক নিরূপণ করা যায়।  কাঁটাছেড়া না করে রিং পরিয়ে (স্টেন্টিং) রক্তনালী চালু করা যায়। এ ছাড়াও রয়েছে রক্তনালী বাইপাস অপারেশন। ধূমপান বর্জন, ওজন নিয়ন্ত্রণ, প্রতিদিন ৪০ মিনিট হাঁটাহাঁটিতে সুস্থতার নিয়ম মেনে চললে রক্তনালী ব্লক তথা অঙ্গ পচন প্রতিরোধ করা যায়। 

সেমিনারে চিকিত্সক ডা. নাজমুল হকের সঞ্চলনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থোপেডিকস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. পারভেজ আহসান, মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক, কনসালটেন্ট, মেডিকেল অফিসার ও শিক্ষার্থীরা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম