ঢাকায় আন্তর্জাতিক ‘ইমামে আযম’ সম্মেলন
ধর্মীয় মতবিরোধ পরিহার করে সহনশীল আচরণের আহ্বান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ পিএম
উম্মাহর মাসলাক ও ফিরকাগত মতানৈক্যকে এদেশে সবসময় রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যার ফলে মানুষ ইলম ও ফিকহী মতানৈক্যের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয় এবং মতানৈক্য মতবিরোধে রূপ নেয়। অথচ ইমামে আযম আবু হানিফা (রহ.) সহ ফিকহের ইমামরা এবং ইমাম বুখারী (রহ.) সহ হাদিসের ইমামরা চেয়েছেন দীন ও শরীয়তকে মানুষের জন্য সহজতর করতে। মতভিন্নতার মাধ্যমে নতুন নতুন সমাধান বের করে নিয়ে আসতে। কিন্তু আজ দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, বড়দের সেসব মতানৈক্য ক্ষেত্রবিশেষ গোষ্ঠীগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিএমএ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ‘ইমামে আযম’ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজীর সভাপতিত্বে ইমামে আযম আবু হানিফার (রহ.) জীবন, কর্ম ও অবদান শীর্ষক ‘আন্তর্জাতিক ইমামে আজম কনফারেন্স’-এ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুতাকাল্লিমে ইসলাম ও ফিকহে হানাফীর ভাষ্যকার পাকিস্তানের মাওলানা ইলিয়াস গুম্মান।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ করব, আপনারা ইলম তলব করুন। খানকাগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখুন। মুরব্বিদের পরামর্শে জীবন পরিচালনা করুন। মুরব্বিদের প্রতি সম্মান বজায় রাখুন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ইমামে আযম আবু হানিফা (রহ.) ফিকহের বড় ইমাম ছিলেন, অসংখ্য হাদিসের হুফফাজ ছিলেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, তিনি ছিলেন একজন বড় তাবেঈ। ইসলামী ইতিহাসের সাড়ে ১৩শ বছরে যতগুলো মুসলিম সাম্রাজ্য অতিবাহিত হয়েছে, সবগুলোতে বিচার, আইন, শিক্ষা ও রাষ্ট্রনীতিতে অনুসৃত নীতি ছিলো ফিকহে হানাফী।
ইমামে আযম আবু হানিফা (রহ.) কেবল একজন ফকীহ বা ইসলামী আইনজ্ঞই ছিলেন না, বরং তিনি ইসলামের ভাবগাম্ভীর্য ও মূল আবেদনকে ঠিক রেখে উম্মাহের জন্য ইসলামকে জীবনঘনিষ্ঠ, সহজতর ও বাস্তবমুখী করে উপস্থাপনের অন্যান্য এক ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আল-ফরিদী, মাওলানা আবদুল মতিন, মাওলানা শফি কাসেমি, মাওলানা ডক্টর নুরুল আবসার আজহারি, মাওলানা আবদুল মজিদ, মাওলানা জুবায়ের আহমদ, মাওলানা সাঈদ আহমদ, মুফতি আবদুল্লাহ মাসুম, মুফতি লুৎফুর রহমান ফারায়েজি, মুফতি বেলাল বিন আলী প্রমুখ।