এসপির ভাই বলে কথা!
দুর্গাপূজায় চাঁদাবাজি, পুলিশের গাড়ি ব্যবহার করে শোডাউন
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
বরগুনার পুলিশ সুপার (এসপি) ইব্রাহিম খলিলের ভাই হুমায়ুন কবির। তিনি ‘জিয়া শিশু একাডেমির মহাপরিচালক পরিচয়ে এলাকায় বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে নেমেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ হুমায়ুনের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। জেলেদের থেকে মাছসহ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় দুর্গাপূজায় অনুষ্ঠানের নামে ঢাকা থেকে বাউল শিল্পী এনে মন্দির থেকেও টাকা নিয়েছেন। মন্দির পরিদর্শনের নামে বেতাগী থানার পুলিশের গাড়ি ব্যবহার করে বিশাল মোটর শোভাযাত্রা করা হয়। পুলিশ প্রটোকলসহ তার এই শোডাউন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
জানতে চাইলে হুমায়ুন কবীর যুগান্তরকে বলেন, ‘আমার সুনাম নষ্ট করতে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি নির্বাচন করব এমনটা ধরে নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন আমার ভাইয়ের সঙ্গে আমার নাম জড়িয়ে নানা বানোয়াট তথ্য ফেসবুকে দিচ্ছে। আমাদের স্থায়ী ঠিকানা পটুয়াখালী। আমরা সেখানেই বড় হয়েছি। পরে বরগুনোর চলে আসি। সম্প্রতি আমার ভাই বরগুনার এসপি হিসাবে যোগ দেওয়ার পর বিতর্ক এড়াতে আমি তার বাসায় যাওয়াই বাদ দিয়েছি। পুলিশের কোনো কাজে আমার তার কাছে যেতে হয় না। আমি সরাসরি ডিআইজির সঙ্গেই কথা বলি।’ আপনি পুলিশ প্রটোকল পাওয়ার যোগ্য কিনা-কিংবা আপনাকে যে পুলিশ প্রটোকল দেওয়া হয়েছে সেটা আইনসম্মত মনে করেন কিনা-জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আমার নিরাপত্তার জন্য পুলিশের সহায়তা চাইতেই পারি। তাছাড়া পূজার সময় আমি তারেক রহমান সাহেবের পক্ষ থেকে এলাকায় মন্দিরে মন্দিরে গিয়ে সহায়তা দিয়েছি। তখন পুলিশ সদস্যরা সঙ্গে ছিলেন। এটাকেই অন্যভাবে প্রচার করা হচ্ছে।’ স্কুলের নাম পরিবর্তন করে আপনি চাঁদাবাজি করছেন কিনা-এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্কুলে নাম আরও ২ বছর আগে পরিবর্তন করা হয়েছে। ফখরুল সাহেব ওটা উদ্বোধন করেছেন। মাছের আড়ত থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ ঠিক নয়।’ আওয়ামী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমি একটি দাওয়াতে গিয়েছিলাম। ওই দাওয়াতে বিএনপির আরও অনেক নেতা ছিলেন। এখন তারা আমার টেবিলে এসে বসলে আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। সৌজন্যতার কারণেই তাদের সঙ্গে কথা বলতে হয়েছে।’