বিশ্বমানের পণ্য ও সেবা দিচ্ছে হোলসেল ক্লাব
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৩ পিএম
যমুনা ফিউচার পার্কের হোলসেল ক্লাবের পঞ্চম বর্ষপূর্তিতে রোববার র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছেন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন যমুনা গ্রুপের অন্যতম গ্রুপ পরিচালক সোনিয়া সারিয়াত ও শেখ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ -যুগান্তর
চাহিদার কথা চিন্তা করে বিশ্বমানের পণ্য ও সেবা দিচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কের ‘হোলসেল ক্লাব’। ইউরোপ-আমেরিকার আদলে এ হাইপার মার্কেট দেশের মানুষের কাছে পাইকারি মূল্যে দেশের মানুষের কাছে ভেজালমুক্ত নিত্যপণ্য পৌঁছে দিচ্ছে স্বনামধন্য গ্রুপ অব কোম্পানিজ ‘যমুনা গ্রুপ’। তাই হোলসেল ক্লাবের পণ্য ও সেবার মানে সন্তুষ্ট ক্রেতা।
এদিকে ব্যবসায়িক চিন্তা নয়, সেবার লক্ষ্য নিয়েই ক্রেতার কাছে পণ্য সরবরাহ করছে হোলসেল ক্লাব। ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর যুমনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নুরুল ইসলাম এই হাইপার মার্কেট উদ্বোধন করেন। তারই হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটি এখন পরিচালনা করছেন- হোলসেল ক্লাব ও যমুনা গ্রুপের অন্যতম গ্রুপ পরিচালক সোনিয়া সারিয়াত। প্রতিষ্ঠানটি ৫ বছর পার করে ৬ বছরে পা দিয়েছে। ১৫ অক্টোবর পঞ্চম বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে হোলসেল ক্লাবে নানা আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে গ্রাহকদের জন্য ছিল র্যাফেল ড্র। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ২০০০ টাকার কেনাকাটায় গ্রাহকরা এই র্যাফেল ড্রতে অংশ নিয়েছেন। র্যাফেল ড্রতে প্রথম পুরস্কার হিসাবে রেফ্রিজারেটর পেয়েছেন পূর্ব কাফরুলের বাসিন্দা জামান। দ্বিতীয় পুরস্কার হিসাবে এয়ারকন্ডিশনার পেয়েছেন পূর্বাচলের তপন নামে এক ক্রেতা। আর তৃতীয় পুরস্কার হিসাবে ডিপ ফ্রিজ পেয়েছেন উত্তরার শারমিন সুলতানা তিথি। রোববার হোলসেল ক্লাবে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, হোলসেল ক্লাব ও যমুনা গ্রুপের অন্যতম গ্রুপ পরিচালক সোনিয়া সারিয়াত, যমুনা গ্রুপের গ্রুপ পরিচালক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ। এছাড়া যমুনা বিল্ডার্সের পরিচালক (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) ড. আলমগীর আলমসহ হোলসেল ক্লাবের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে গ্রুপ পরিচালক সোনিয়া সারিয়াতের জন্মদিন উপলক্ষ্যেও কেক কেটে শুভেচ্ছা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, হোলসেল ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে ক্রেতাদের বিশ্বমানের পণ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়িক চিন্তা নয়, সেবার লক্ষ্য নিয়েই ক্রেতার কাছে পণ্য সরবরাহ করছেন তারা। অতীতের মতো ভবিষ্যতেও মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ ও সেবা দেওয়াই তাদের প্রধান লক্ষ্য। ক্রেতাদের সন্তুষ্টিই সামনের দিনগুলোতে তাদের প্রেরণা জোগাবে। হোলসেল ক্লাবের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আরও সুনাম বয়ে আনবে। তিনি বলেন, প্রায় ২ লাখ বর্গফুটের এই মার্কেটে দৈনন্দিন জীবনের সব ধরনের পণ্যই মিলছে একই ছাদের নিচে। দেশি-বিদেশি ৫০ হাজারের বেশি পণ্য রয়েছে হোলসেল ক্লাবে। হোলসেল ক্লাব ও যমুনা গ্রুপের অন্যতম গ্রুপ পরিচালক সোনিয়া সারিয়াত বলেন, দেশের একমাত্র হাইপার মার্কেট হোলসেল ক্লাব পঞ্চম বর্ষপূর্তি শেষে ষষ্ঠ বর্ষে পদার্পণ করেছে। এটি আমাদের জন্য একটি বিশেষ মাইলফলক। ক্রেতাদের আস্থা ও ভালোবাসায় এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত র্যাফেল ড্রর বিজয়ী ক্রেতাদের আন্তরিক অভিনন্দন। ভবিষ্যতেও আমাদের সেবার মান ধরে রাখতে এবং ক্রেতাদের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অনুষ্ঠানে যমুনা গ্রুপের গ্রুপ পরিচালক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ, ক্রেতা ও হোলসেল ক্লাবের কর্মকর্তা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করে হোলসেল ক্লাব আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
এদিকে হোলসেল ক্লাবের পঞ্চমবর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে ১৫ অক্টোবর থেকে গ্রাহকদের জন্য এক্সাইটিং অফার নিয়ে শুরু হয়েছিল ‘শপিং ফেস্টিভ্যাল’। যেখানে হোলসেল ক্লাবের দুই হাজারেরও বেশি দেশি-বিদেশি পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য ছাড়ের ব্যবস্থা রাখা হয়। আর এই আয়োজন চলে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। পাশাপাশি ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫০০ টাকার শপিং করলে গ্রাহকরা পেয়েছেন ফ্রি স্টার মেম্বারশিপ কার্ড। মেয়াদোত্তীর্ণ মেম্বারশিপ কার্ডের জন্য ফ্রিতে নবায়ন করার সুযোগ দিয়েছিল হোলসেল ক্লাব। এছাড়া হোলসেল ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ক্লাবের ভেতরে ক্রেতা সাধারণের জন্য বিভিন্ন কোম্পানির নিত্যনতুন পণ্যের ফ্রি প্রদর্শন ও বিনামূল্যে স্বাদ গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
হোলসেল ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানায়, ইউরোপ-আমেরিকাসহ উন্নত বিশ্বের নামিদামি মার্কেটের আদলে স্বপ্নের এ মার্কেটের আয়তন প্রায় ২ লাখ বর্গফুট। এখানে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সব ধরনের পণ্য একই ছাদের নিচে সহনীয় মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। সব মিলে এখানে দেশি-বিদেশি ৫০ হাজারের বেশি পণ্য রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি আমদানি করা। এসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালমার্ট, কস্টকো এবং স্যামস ক্লাবের মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড থেকে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সরাসরি আমদানি হচ্ছে। হোলসেল ক্লাবের প্রতিশ্রুতি হলো গুণগতমানের পণ্য সহনীয় দামে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। কসমেটিক্স, খাবার আইটেম, কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে মানুষের ব্যবহৃত সব পণ্য পাইকারি দরে পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি মাছ, মাংস, শাকসবজি, চাল, ডাল থেকে শুরু করে সব ধরনের দৈনন্দিন বাজার, প্রসাধনী, বেকারি আইটেম, ফলমূল, ওষুধ, আসবাবপত্র, রান্নাঘরের সরঞ্জাম, চাদর থেকে শুরু করে ঘরের যাবতীয় পণ্য, শিশুদের খাবার, বই এমনকি পোষা প্রাণীর খাবারও রয়েছে এই মার্কেটে। প্রতিদিনই এখানে ক্রেতা এবং উৎসুক জনতা ভিড় করেন।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ৩৫০টির বেশি ভেন্ডর এবং ১০ হাজারের বেশি সদস্য রয়েছেন তাদের। ই-কমার্সের মাধ্যমে পণ্য মিলছে এখানে। ফলে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে হোলসেল ক্লাবের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৩ শতাধিক কর্মী কাজ করছেন। ক্রেতাদের ভিড় এড়াতে রয়েছে ৩০টি ক্যাশ কাউন্টার। দুই ধরনের মেম্বারশিপ কার্ড রয়েছে। এগুলো হলো স্টার কার্ড এবং এক্সিকিউটিভ কার্ড। ক্লাবের কার্যক্রম সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে। তবে ক্রেতাদের চাহিদা বিবেচনায় তা ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।