ঢাবির ৫ শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টা: যবিপ্রবির কর্মকর্তা গ্রেফতার
যশোর ব্যুরো
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০১ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচ শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কর্মকর্তা সাইফুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের সংস্থাপন প্রশাসন-১ কর্মরত ও তৎকালীন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে যশোরের পুলিশের সহায়তায় ঢাকার শাহাবাগ থানার পুলিশ আটক করেছে।
যশোর কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান, আটকের পর যবিপ্রবির ওই কর্মকর্তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৬ আগস্ট রাত ১১ টায় ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে তৎকালীন মুহসীন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিবিরকর্মী সন্দেহে ৫ ঢাবি শিক্ষার্থীকে রাতভর শারীরিক নির্যাতন করে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অস্বীকার করলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম ও জিহ্বায় ছুরি চালাই সে। একপর্যায়ে ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহবাগ থানায় ভুক্তভোগী ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাসরুর, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বাপ্পি মিয়া, মনোবিজ্ঞান বিভাগের ইবরাহীম হোসেন, মেহেদী হাসান এবং আবদুল গাফফারের পক্ষে মাসরুর বাদী হয়ে ১৩ জন ছাত্রলীগ নেতার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তিন নাম্বার আসামি সাইফুর রহমানকে গ্রেফতারে সহযোগিতা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে লিখিত পত্র দেয় ডিএমপির শাহবাগ থানা পুলিশ। পরবর্তীতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অভিযুক্ত সাইফুর রহমানকে পুলিশে সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেন। এরপর 'একতা এম্বুলেন্স' নামের একটি মাইক্রোবাসে করে তাকে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসিন হলের শিক্ষার্থীকে মারধরের অপরাধে শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়। মামলার আসামি ঢাবি ছাত্রলীগের তৎকালীন আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান যবিপ্রবির সেকশন অফিসার সাইফুর রহমান। তাকে আটকের জন্য শাহবাগ থানা পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সহায়তা চাইলে, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ও সাইফুর রহমানের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে করে প্রধান ফটকের সামনে নিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করি।