Logo
Logo
×

অন্যান্য

মৎস্যজীবী ও মৎস্য খাত চরম বৈষম্যের শিকার: উপদেষ্টা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৭ পিএম

মৎস্যজীবী ও মৎস্য খাত চরম বৈষম্যের শিকার: উপদেষ্টা

মৎস্যজীবী ও মৎস্য খাত চরম বৈষম্যের শিকার উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-জনতা-শ্রমিকদের রক্তক্ষয়ী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলে নতুনভাবে স্বাধীনতা আসলেও মৎস্যজীবী ও মৎস্য খাতে যে বৈষম্য রয়েছে- তা দূর করতে সরকার সর্বোচ্চভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

শ‌নিবার  দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, যারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে তারাই প্রকৃত মৎস্যজীবী। এক্ষেত্রে কোনোভাবেই ব্যবসায়ীরা অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না। 

মৎস্যজীবীদের মধ্যে মজুরি বৈষম্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারী মৎস্যজীবীদের স্বীকৃতিকে বড় ধরনের সমর্থন জানাতে হবে।তাদের সঙ্গে অন্য মৎস্যজীবীদের কোনো পার্থক্য করা যাবে না। সুযোগ-সুবিধা দিতে পারলে মৎস্যজীবীরা আর গরিব থাকবে না। 

উপদেষ্টা বলেন, আমরা যদি মেরিন ফিশারিজকে সত্যিকার অর্থেই ব্যবহার করতে পারি বাংলাদেশ আর গরিব থাকবে না। আমরা শুধু মৎস্য সম্পদের কথা বিবেচনা করি তাহলে দেখা যায়, এই বিশাল প্রজাতির মধ্যে অনেক প্রজাতি এখনো আমাদের আহরণের মধ্যে আসেনি। এমনকি, গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণের সক্ষম উন্নত ভেসেল আমাদের নেই। আমরা জানি না সত্যিকার আমাদের কত প্রজাতির মৎস্য সম্পদ আছে, তাদের মজুদ কেমন। সরকার নিজস্ব ভেসেল এনে এ বিষয়ে কাজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এজন্য দেশের স্বার্থে স্বনামধন্য বিজ্ঞানীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

ইলিশ মাছ আল্লাহর দান উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, নোনা পানি থেকে স্বাদু পানিতে আসা এবং ফেরত যাওয়ার মতো মাইগ্রেটরি রুট ঠিক করতে পারলে ইলিশের উৎপাদন বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে এবং ইলিশ আমাদের বড় সম্পদে পরিণত হবে। অতীতের সরকার ভারতের নতজানু থাকার ফলে বাংলাদেশে ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন সে দেশের জেলেরা আমাদের সমুদ্রসীমায় প্রবেশ করে ইলিশ ধরে নিয়ে যেত- এ সমস্যা লাঘবে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। 

তিনি বলেন, নদ-নদীর মতো সমুদ্র দূষিতমুক্ত নয়। নদীর পানি সমুদ্রে যাচ্ছে সমুদ্রও দূষিত হচ্ছে। দেশে যেভাবে প্লাস্টিক ব্যবহৃত হচ্ছে তা রোধ করা দরকার। আমরা যে মাছ খাচ্ছি- অনেক মাছের মধ্যে মাইক্রো প্লাস্টিক পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশকে প্লাস্টিকমুক্ত করতে আমাদের কাজ করতে হবে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, হাওর ও নদীর মাছ রক্ষায় অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বাড়িয়ে সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে। 

কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক সনৎ কুমার ভৌমিক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেছেন মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের পরিচালক অদ্বৈত চন্দ্র দাস, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ প্রমুখ।

এক্সপার্ট গেস্ট হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক (অব) ড. আব্দুল ওয়াহাব ছাড়াও সেমিনারে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম