সেবা সংঘের নামে অর্থ লোপাট করেন সালাম মুর্শেদী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৫ পিএম
ফুটবল মাঠের এক সময়ের দাপুটে খেলোয়াড় আব্দুস সালাম মুর্শেদী এমপি হওয়ার পর রাজনীতির মাঠেও একক আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন। নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সংসদীয় এলাকায় ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। প্রতিবাদ করলে বা মতের মিল না হলে এলাকার মানুষের ওপর নেমে আসত নির্যাতন। রেহাই পাননি নারীও।
স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য থেকে শুরু করে সব ধরনের অরাজকতায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। গড়ে তোলেন এমপি লীগ। ঢাকার গুলশানে বাড়ি দখল কেলেঙ্কারি ও আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগে ফিফার জরিমানার মুখেও পড়েন তিনি। স্ত্রী ও মেয়েকে প্রাধান্য দিয়ে সামাজিক কর্মকাণ্ডের আড়ালে করতেন অর্থ লোপাট।
সংসদীয় এলাকায় সালাম মুর্শেদী সেবা সংঘ এবং শারমিন সালাম ব্লাডব্যাংক ও অক্সিজেন ব্যাংক নামে দুটি সংগঠন তৈরি করেছিলেন দলীয় লোকজন। এই সংগঠন দুটির আড়ালে করতেন অর্থ আদায়। খুলনার জেলখানা ঘাট এলাকায় ট্রলার চালক সমিতি রয়েছে। এই ঘাটে তার নির্ধারিত কয়েকজন লোক বসানো হয়। যেখান থেকে প্রতিদিন সালাম মুর্শেদী সেবা সংঘের নামে জমা হতো টাকা। একইভাবে জেলখানা ঘাট, রূপসা বাসস্ট্যান্ড ও অটোস্ট্যান্ড থেকে সেবা সংঘের নামে প্রতিদিন টাকা জমা হতো। ৫ বছর ধরেই এই টাকা তার নামে জমা হতো। এসব অর্থ মাস শেষে সালাম মুর্শেদীর হাতে পৌঁছে দেওয়া হতো।
এদিকে মুর্শেদীর বিরুদ্ধে বড় জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে অসহায় দুস্থদের ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে। ২০২২ সালে রূপসায় রেলের জায়গায় কাবিখা-কাবিটার অর্থে ২৫টি ঘর নির্মাণ করে দেন। অথচ তিনি নিজের টাকায় ওই বাড়িঘর নির্মাণ করেছেন বলে দাবি করেন। যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন। পরে রেলের আপত্তিতে সেই ঘর সেভাবেই ফেলে রাখা হয়েছে।