অনলাইন টিকেটিং নিয়ে সুখবর দিলেন রেল উপদেষ্টা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১১ পিএম
ট্রেনের অনলাইন টিকেটিং পদ্ধতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন ও নতুন সুবিধা আনার কথা জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর রেল ভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের রুট রেশনালাইজেশন এবং ই-টিকেটিং ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির বলেন, আজ একটা প্রেজেন্টেশন হয়েছে। সেখান আমরা অনেক কিছু পেয়েছি। তিন জন প্রযুক্তিবিদ বিভিন্ন বিষয় জানিয়েছেন।
অনলাইনে টিকিট কাটার জটিলতা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘তাদের প্রেজেন্টেশনে দেখা গেল, কমলাপুর থেকে টিকিট চাইলেন, সেখানে নেই। কিন্তু তেজগাঁও থেকে আছে। আবার ৭টার ট্রেনে টিকিট নাই, কিন্তু ১০টার ট্রেনে আছে। তবে সেটির কী অবস্থা তা জানা যাচ্ছে না।’
বিষয়টি ঠিক করতে রেলওয়ের অনলাইন টিকেটিং পদ্ধতির সহযোগী সহজকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘যাত্রী যেন এখন থেকে এটা (টিকিটের অবস্থা) দেখতে পান—কখন, কোথায় কোন স্টেশন থেকে টিকেট আছে। সহজ বলেছে, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে এটা ঠিক করা হবে। না হলে আপনারা অভিযোগ করবেন।’
মৌখিক বা টেলিফোনে কারও অনুরোধে টিকিট কেটে দেওয়ার চর্চা বন্ধ করা হবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘রেলে অনেক কর্মকর্তা আছেন, এখানে কাজ করেন। কিন্তু এটা কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি না, এটা জনগণের সম্পত্তি। রেলের সচিব, মন্ত্রীর জরুরি কাজ আছে বলে অন্যদের নাই এমন তো না। আমরা দেশটাকে সাধারণ মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিতে চাই। মৌখিক বা টেলিফোনে টিকিট বিতরণ বন্ধ হয়ে যাবে এখন থেকে। আবার বিভিন্ন স্টেশন থেকেও টিকিট বরাদ্দ আছে। এখন সেটা এক স্টেশনে বিক্রি না হলে অন্য স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে। সেটাও সহজকে বলা হয়েছে। আমরা এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘দেখা গেল অনলাইনে টিকিট পাওয়া যায় না। কিন্তু কালোবাজারে ২০০ বা ৩০০ টাকায় টিকিট পাওয়া যায়। এ বিষয় নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফাওজুল কবির বলেন, ‘আমাদের যথেষ্ট লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) নাই, কোচ নাই। সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
রেলের রুট রেশনালাইজেশন (যৌক্তিকীকরণ) করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেখানে যাত্রী নাই সেখানে ট্রেন যাচ্ছে। আবার যেখানে যাত্রী আছে সেখানে ট্রেন নাই। প্রবাসীরা যেসব জায়গায় যায় যেমন: ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম—এসব রুটে আলাদা ব্যবস্থা নেব।’