ভারতীয় ভিসা সীমাবদ্ধ করার মতো কোনো পরিস্থিতি বাংলাদেশে হয়নি
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৮ এএম
বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা সীমাবদ্ধ করার কোনো পরিস্থিতি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ভিসা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ভারত। পরে চালু হলেও তা সীমিত পর্যায়ে আটকে আছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক বিফ্রিংয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন রিজওয়ান হাসান। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের বিষয়ে অবহিত করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ভারত বারবার বলে আসছে, পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মকভাবে ভিসা কার্যক্রম চালু হবে না। কিন্তু ভারত ছাড়া এই মুহুর্তে অন্য কোনো দেশ বাংলাদেশে ভিসা কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করেনি। ভারতকে এই নীতি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের এই উপদেষ্টা।
সংবাদ সম্মেলেন রিজওয়ানা বলেন, ’ভারত স্পষ্টভাবে বলে আসছে যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তারা কিছু করতে পারবে না। আমি মনে করি না যে, বাংলাদেশে এমন কোনও পরিস্থিতি আছে, যার কারণে কোনও বিদেশি দেশ ভিসা সীমাবদ্ধ করতে পারে। কারণ অন্য কোনও দেশ এই ধরনের কোনও সীমাবদ্ধতা আরোপ করেনি। আমাদের জন্য এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে, যাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ওপর নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে, তাদের কেউ কেউ হয়তো ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। হয়তো এটিই ভারত সরকারের পরিবর্তিত পরিস্থিতি বলতে বোঝানো হচ্ছে, আমরা নিশ্চিত নই’।
‘কারণ অন্য কোনও দেশ যেমন- আমেরিকা, ইউএই, বা জাপান এই ধরনের ভিসা সীমাবদ্ধতা আরোপ করেনি। হয়তো ভারত সরকার তাদের নীতি পুনর্বিবেচনা করতে পারে’।
এর আগে গত ২১ অক্টােবর পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সংবাদমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য ভারতীয় ভিসা খুব শিগগির চালু হচ্ছে না। শুধু যাদের জরুরি প্রয়োজন, তাদের ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন থেকে ভিসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এখন যাদের জরুরি প্রয়োজন, তাদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে। কারণ, আমাদের লোকবল কম। আমাদের কার্যক্রম স্বাভাবিক হলে এটি (ট্যুরিস্ট ভিসা) শুরু করা সম্ভব হবে। তবে এখন যাদের জরুরি, তাদের মেডিকেল ভিসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ভারতে গিয়ে তৃতীয় কোনো দেশের ভিসার আবেদন যাঁরা করছেন, তাদের আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’