ঘূর্ণিঝড় নিয়ে নামকরণের কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম ছিল না। তাই প্রাকৃতিক বিপদের পরিচিতি ও চিহ্নিতকরণকে কঠিন হয়ে গিয়েছিল। তবে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানীরা একটি কার্যকর নামকরণ পদ্ধতি তৈরি করেছেন, যা এখন বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়।
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের প্রধান উদ্দেশ্য হলো মানুষের মনে ঝড়ের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা এবং সতর্কতা প্রদান করা সহজ করা। একটি নির্দিষ্ট নাম ব্যবহার করে, লোকজন ঝড়ের কার্যক্রম ও এর প্রভাব সম্পর্কে দ্রুত তথ্য পেতে পারেন।
বঙ্গোপসাগর সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি বুধবার ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয় বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকালে এটি বঙ্গোপসাগরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা উপকূলে পৌঁছাতে পারে।
এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘দানা’। ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করেছে কাতার। আরবি ভাষায় এই শব্দের অর্থ ‘সুন্দর এবং মূল্যবান মুক্তা’।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা যেমন-বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডাব্লিউএমও), এশিয়ার জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়। ভারতের আইএমডি ছয়টি আবহাওয়া কেন্দ্রের মধ্যে একটি যা ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়। এই আবহাওয়া কেন্দ্রগুলো কেবল ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়, তবে নামগুলো এমনভাবে নেওয়া হয় যাতে কারো অনুভূতিতে আঘাত না হয় এবং এ নামগুলোর পুনরাবৃত্তি হয় না।
ইংরেজি বর্ণমালা কিউ, এক্স, ওয়াই ও জেড-এই ৫টি অক্ষর বাদ দিয়ে ইংরেজি বর্ণমালার ২১টি অক্ষর ব্যবহার করে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়। এগুলো সাধারণত এক বছরের জন্য পর্যায়ক্রমিকভাবে করা হয়। তবে কোনো বছর যদি ২১টির বেশি ঘূর্ণিঝড় দেখা দেয়, তবে নামগুলোর সঙ্গে গ্রিক বর্ণমালা যুক্ত করা হয়। নামকরণের পদ্ধতি অঞ্চলভেদে পরিবর্তিত হয়।