২৪ হাজার কোটি আত্মসাৎ ও মানবপাচার মামলায় সাবেক মন্ত্রী রিমান্ডে
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
![২৪ হাজার কোটি আত্মসাৎ ও মানবপাচার মামলায় সাবেক মন্ত্রী রিমান্ডে](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/10/21/MP-Imran-6716347d53c30.jpg)
সিন্ডিকেট করে ২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানবপাচারের মামলায় সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদের ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব এ আদেশ দেন। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাছান সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমেদের ১০ দিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
গত রোববার রাতে রাজধানীর বনানী থেকে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
নথি থেকে জানা গেছে, সিন্ডিকেট করে অর্থ আত্মসাৎ ও মানবপাচারের অভিযোগে গত ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন আফিয়া ওভারসিজের প্রোপাইটর আলতাব খান। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলায় সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, সাবেক সংসদ সদস্য ও এম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লে. জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (অব.), আহমেদ ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর ও সাবেক এমপি বেনজীর আহমেদ এবং ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর মো. রুহুল আমীন স্বপনসহ ১০৩ জনকে আসামি করা হয়।
এজাহারে বলা হয়েছে- জনশক্তি রপ্তানিতে দুই হাজারের বেশি রিক্রুটিং এজেন্ট থাকলেও মামলার আসামিরা মাফিয়া সিন্ডিকেট চক্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করে সংবিধানের মূলনীতি পরিপন্থি জঘন্য অপরাধ করেছে। আসামি সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন সরকারি চাকরিরত অবস্থায় নিজ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছেলেকে সিন্ডিকেট চক্রের সদস্য হিসেবে ব্যবহার করেছেন। আর সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ তার স্ত্রীর বড় ভাইয়ের ছেলেকে বিধিবহির্ভূতভাবে প্রবাসী নামে একটি অ্যাপস চালুর অনুমোদন দিয়ে চক্রকে সহযোগিতা করেছেন।
বাদী আরও উল্লেখ করেন, পরস্পর যোগসাজশে তার সরলতার সুযোগে ভয়ভীতি ও বলপ্রয়োগ করে মানবপাচারের উদ্দেশে তার কাছ থেকে জোর করে অতিরিক্ত চাঁদা হিসেবে প্রত্যেকের দেড় লাখ টাকা হারে ৮৪১ জনের ১২ কোটি ৫৬ লাখ এক হাজার টাকা আদায় করেছে। এছাড়া তারা সংঘবদ্ধভাবে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে আত্মসাৎ করেছেন।