১৫ বছর মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেনি: শিল্প উপদেষ্টা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, বিগত ১৫ বছর মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেনি। ভয়ের সংস্কৃতি, ভয়ের শাসন ও ফ্যাসিবাদের কারণে স্বাধীনভাবে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
শনিবার রাজধানীর কারা অধিদপ্তরের কনভেনশন হলে ‘কারাগার সংস্কার : বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) ও কারা অধিদপ্তর যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
এলআরএফের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসান জাবেদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তৃতা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মিশন। কর্মশালা সঞ্চালনা করেন প্রশিক্ষণ ও কল্যাণ সম্পাদক জাভেদ আখতার ও নিউ এজ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক শহীদুজ্জামান।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহার হোসেন কারা সংক্রান্ত বিদ্যমান ব্যবস্থা নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
জেল সংস্কার : সমসাময়িক প্রেক্ষাপট ও প্রস্তাবনা বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
কর্মশালায় উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস। আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির সদস্য সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ, কারা উপমহাপরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবির, সাবেক কারা উপমহাপরিদর্শক মো. শামসুল হায়দার সিদ্দিকী।
উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, কারাগারগুলোকে সংস্কারের চেষ্টা করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন যুগোপযোগী করতে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন সুপারিশ করবে। আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানের নেতৃত্বে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন কাজ করছে। তারা জেল কোড যুগোপযোগী করতে সুপারিশ করবেন।
বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, বিভিন্ন সংস্থাকে সম্পৃক্ত করে কারা সংস্কারে উদ্যোগ নিতে হবে। কারাগার আমাদের সমাজেরই অংশ। কারাবন্দি একজন মানুষের শুধু ফ্রিডম অব মুভমেন্ট থাকবে না। তার ভোটাধিকার বা অন্যান্য ফ্রিডম রেসট্রিকটেড থাকবে না।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোতাহার হোসেন বলেন, দেশের সব কারাগারে এখন নিরাপদ ও স্বাভাবিক পরিবেশ রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে কারাগারে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি লোক থাকে, যা অমানবিক। এটি সমাধান করা জরুরি।
অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, জেলগুলো মূলত ১৮৬০ সালের জেল কোড, দ্য প্রিজন্স অ্যাক্ট ও দ্য প্রিজনার্স অ্যাক্ট আইনগুলোর মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ঔপনিবেশিক আমলের এসব আইন সংশোধন করে জেল ব্যবস্থা সংস্কার এখন সময়ের দাবি।