ফাইল ছবি
বাড্ডা থানার আল-আমিন হত্যা মামলায় ২ দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আনিসুল হককে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আহসান হাবীব।
এ সময় তিনি মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্তকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে জেলহাজতে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়- আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে মামলা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। দেশের বর্তমান বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব পর্যায়ের আসামিরা বিভিন্ন উপায়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। আনিসুল হকও দেশ ছেড়ে পালাতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন। আসামি জামিনে মুক্ত হলে পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়- ৫ অগস্ট সরকার পতনের দিন রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় আনন্দ মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন আল আমিন হোসেন আগমন চিশতী। ‘আওয়ামী সমর্থিত সন্ত্রাসী বাহিনী’ সেখানে এলোপাতাড়ি গুলি চালালে আল আমিন নিহত হন।
ওই ঘটনায় গত ২১ সেপ্টেম্বর বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত আল আমিনের মা। মামলায় আনিসুল হককে ‘পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা’ হিসেবে ৪ নম্বর আসামি করা হয়। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন এবং বাকি আসামিদের তথ্য সংগ্রহের জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ অক্টোবর আদালত আনিসুল হকের ২ দিনের রিমান্ড আদেশ দেন।