সার্বজনীন পূজা কমিটির আয়োজনে জাপানে ২৯তম দুর্গোৎসব
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৩ পিএম
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জাপানে বসবাসরত সনাতন ধর্মাবলীদের বৃহৎ সংগঠন সার্বজনীন পূজা কমিটি, জাপান-এর উদ্যোগে উৎসবমুখর পরিবেশে ২৯তম শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপিত হয়েছে।
১৩ অক্টোবর জাপানের সাইতামা সিভিক হল ইওয়াৎসুকিতে আনন্দঘন পরিবেশে ২৯তম শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপিত হয়েছে। এতে জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সব বাঙালি, বাংলাভাষী ও ভিন দেশের নাগরিকরা অংশ নেন।
দুর্গোৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের সম্মানিত চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স শাহ্ আসিফ রহমান। তার বিশেষ উপস্থিতি এবং গঠনমূলক বক্তব্য সবাইকে উৎসাহিত করে। তিনি বলেন, ‘প্রবাসে থেকে দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে জাপানে শারদীয় দুর্গা পূজার আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সার্বজনীন পূজা কমিটি, জাপানের সভাপতি শ্রী বিপ্লব মল্লিক। সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শ্রী অঞ্জন দাস। দুর্গাপূজার মাহাত্ম্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা শ্রী সুখেন ব্রহ্ম। উপদেষ্টা পরিষদের পক্ষ থেকে বিশেষ বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা শ্রী বিমান কুমার পোদ্দার ।
জাপানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির প্রতিষ্ঠার বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয় সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ড. বিজন কুমার মিত্র।
অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তব্যে দুর্গোৎসবে সব সহযোগীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সম্মানিত কোষাধ্যক্ষ ড. প্রদীপ কুমার রায়। দুর্গোৎসবে এ বছর প্রকাশিত হয়েছে আগের ধারাবাহিকতায় পূজা স্মরণিকা শারদীয়া ২০২৪। শারদীয়া প্রকাশে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সম্মানিত প্রকাশনা সম্পাদক শ্রী সজীব দাশ।
সবাইকে সার্বজনীন পূজা কমিটি জাপানের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সমাপনী বক্তব্য রাখেন সম্মানিত উপদেষ্টা শ্রী সুনীল রায়। এরপর শুরু হয় বরাবরের মত আকর্ষণীয় পর্ব ভক্তিমূলক সঙ্গীতানুষ্ঠান।
সকাল সাড়ে ১০টায় ধর্মীয় গাম্ভীর্যতায় মা দুর্গা দেবীর পুজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন পুরোহিত। ভক্ত বৃন্দের ব্যাপক উপস্থিতির জন্য একাধিক পর্বে অঞ্জলীর মাধ্যমে শক্তির দেবী মা দুর্গার আরাধনা সুসম্পন্ন হয়, সঙ্গে পৃথিবীর সব জীবের মঙ্গল কামনা করা হয়। এর পর শুরু হয় উপস্থিত সকলের মাঝে দেবী দুর্গার মহা প্রসাদ ও ভোগ বিতরণ করা হয়।
সঙ্গীতানুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় গান, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি এবং পিয়ানো। উত্তরণ শিল্পীগোষ্ঠি এবারো তাদের মনোমুগ্ধকর জমকালো পরিবেশনায় সঙ্গীতানুষ্ঠানটির পরিপূর্ণতা এনে দেয়।
সন্ধ্যা আরতি, সিঁদুর খেলা এবং বিজয়ার মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে সারাদিনের এ ঐতিহাসিক শারদীয় দুর্গোৎসবের মিলনমেলা শেষ হয়।
এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবকে সর্বোতভাবে সুন্দর ও সফল করতে অক্লান্ত পরিশ্রম ও সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন শিবাজী দত্ত, ড. নন্দ দাস, কিশোর পাল, ড. শরর্মিলী ভৌমিক, নিরুপম দাস, সুজন সাহা, ড. মানিক মন্ডল, ড. সুমেল চন্দ্র, নাসুতোষ সেন, সন্জয় কুমার দেব, রাজিব রক্ষিত, শিপন দাস, আশিষ বনিক, ক্ষমা দেব, ববিতা পোদ্দার, নীলাঞ্জনা দত্ত, শান্তা দাস, কেয়া দাস, প্রিয়ংকা মিত্র, চৈতি বিশ্বাস, ড. সোনা রানী রায়, মৌটুসী দত্ত, সুমী দাস, সীমা কুন্ড, দিলীপ কুন্ড, সুমন্ত মজুমদার, সনেট দাস, উৎপল দত্ত, অনিন্দ রায়, সুজিত ব্রহ্ম, নিখিল রায়, নারায়ন বনিক, বিদুৎ বাড়ৈ প্রমুখ।