বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে আরও পেছাল বাংলাদেশ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৮ পিএম
ক্ষুধা মেটানোর সক্ষমতায় ১২৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৮৪তম। গত বছরের তুলনায় এবার তিন ধাপ নেমেছে বাংলাদেশের অবস্থান। বৈশ্বিক এ সূচকে মোট ১০০ স্কোরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ১৯ দশমিক ৪।
শুক্রবার গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স প্রকাশিত এই সূচকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের এ অবস্থান উঠে এসেছে।
সূচকে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারত (১০৫) ও পাকিস্তানের (১০৯) চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। তবে শ্রীলঙ্কা (৫৬), নেপাল (৬৮) ও মিয়ানমার (৭৪) বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে।
সাম্প্রতিক সূচকগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৬ সালের পর ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করা কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৪ দশমিক ৭। গতবছর সেটি কমে ১৯ এ নেমে আসে।
বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক প্রবণতার বিপরীতে এসে বাংলাদেশ, মোজাম্বিক, নেপাল, সোমালিয়া ও টোগো তাদের স্কোর ২০১৬ সালের তুলনায় ৫ পয়েন্টেরও বেশি কমাতে সক্ষম হয়েছে। এরপরও বাংলাদেশে যে পরিমাণ ক্ষুধার্ত মানুষ আছে, তা গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।
সূচকে বর্তমানে বাংলাদেশ 'মাঝারি মাত্রার' ক্ষুধায় আক্রান্ত দেশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি দেশে অপুষ্টির মাত্রা, শিশুদের উচ্চতা অনুযায়ী কম ওজন, শিশুদের বয়স অনুযায়ী কম উচ্চতা এবং শিশুমৃত্যুর হার হিসেব করে ক্ষুধার মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এই চারটি সূচকের মান এক করে ১০০ পয়েন্টের একটি স্কোর পদ্ধতি সাজায় বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক।
সূচকে কোনো দেশের স্কোর শূন্য হওয়া মানে সেখানে ক্ষুধা নেই। স্কোর যত বাড়বে, ক্ষুধার মাত্রা সেখানে তত বেশি। স্কোর ১০০ হওয়ার অর্থ, সেখানে ক্ষুধার মাত্রা সর্বোচ্চ।
এ বছরের সূচক অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১১ দশমিক ৯ শতাংশ অপুষ্টিতে ভুগছে। ২ দশমিক ৯ শতাংশ শিশু পাঁচ বছরে পা রাখার আগেই মারা যাচ্ছে।
বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সি ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ শিশুর বয়স অনুযায়ী উচ্চতা কম এবং পাঁচ বছরের কম বয়সি ১১ শতাংশ শিশুর উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কম।
এবারের সূচক অনুসারে ছয়টি দেশে উদ্বেগজনক পরিমাণে ক্ষুধা বিরাজ করছে। সূচকের সবচেয়ে নিচে থাকা ছয়টি দেশ হচ্ছে– বুরুন্ডি, দক্ষিণ সুদান, সোমালিয়া, ইয়েমেন, চাদ ও মাদাগাস্কার।
সূচকে শীর্ষ পাঁচ দেশ হচ্ছে– বেলারুশ, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, চিলি, চীন এবং কোস্টারিকা।