পাহাড়ে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দ্রুত তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আসবে
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৪ পিএম
পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটকদের ভ্রমণে বিরত থাকার যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তা দ্রুত তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। ঢাকায় ফিরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার সকালে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, সম্প্রতি সাজেক ভ্রমণে গিয়ে প্রচুর পর্যটক আটকে পরে। সারা দেশ থেকে যাওয়া পর্যটকেরা সেখানে আটকে পরায় সরকার খুব বিব্রত অবস্থায় পরেছে। সরকারের ইমেজ ক্ষুণ্ণ হয়েছে। আমরা বিব্রত অবস্থায় পরতে চাই না! সরকার সব দিক বিবেচনা করে এটা (পর্যটন) খুলে দেবে।
এছাড়া দীঘিনালায় ১৯ সেপ্টেম্বর সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপদেষ্টা। সংঘাত, হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন উপদেষ্টা। এ সময় আইনের নিজের হাতে তুলে না নেওয়ারও অনুরোধও জানান তিনি।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ বলেন, এখানে যারা সাধারণ পাহাড়ি বাঙালি আছে তাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নাই। যারা এখানে সংঘাত করছে তারা বাইরে থেকে আসে নাই যারাই অপরাধী তাদের আইনে আওতায় আনতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে উপস্থিত সবাই চাঁদাবাজির শিকার। এখানে যারা আছেন প্রত্যেককে চাঁদা দিতে হচ্ছে। আমরা কেন দিচ্ছি? মুরগি বিক্রি হলে চাঁদা দিতে হয়, কলার ছড়া বিক্রি করলে চাঁদা দিতে হয়। এটা কখনো হতে পারে না।
পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠনগুলোকে ইঙ্গিত করে সবাইকে ‘ওপেন ফিল্ডে’ এসে গণতান্ত্রিক ধারায় রাজনীতির করার অনুরোধ করেন তিনি। জেএসএস যদি ‘ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টে’ অন্য করতে। সমস্যা কোথায়? এমন প্রশ্ন রাখেন সুপ্রদীপ চাকমা।
সম্প্রতি দীঘিনালার লারমা স্কয়ারের সহিংসতার ঘটনায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা, ভাঙচুরে শিকার হওয়াদের ২০ হাজার টাকা করে এবং নিহত একজনকে ১ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়। এ সময় ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্যশস্য সহায়তা দেওয়া হয়।
এ সময় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন- খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, দীঘিনালা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রশীদ, দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ধর্মজ্যোতি চাকমা, সাবেক চেয়ারম্যান নব কমল চাকমা, উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।