Logo
Logo
×

জাতীয়

বুয়েটের শের-এ-বাংলা হলে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলক’ স্থাপন

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৬ পিএম

বুয়েটের শের-এ-বাংলা হলে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলক’ স্থাপন

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শের-এ-বাংলা হল প্রাঙ্গণে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নির্যাতনে নিহত আবরার ফাহাদের নামে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতিফলক’-এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল ১১টায় এ স্মৃতিফলকের উদ্বোধন করেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.বি.এম. বদরুজ্জামান ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য বলেন, ‘প্রথমেই আমি আবরার ফাহাদের বাবা ও তার পরিবারবর্গের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি যে আপনারা আবরার ফাহাদকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন কিন্তু আমরা তাকে রাখতে পারিনি। আল্লাহর কাছে একটিই দোয়া ঘরে ঘরে যেন আবরার ফাহাদের মত সন্তান আসে যারা সত্য বলতে ভয় পাবে না, যারা দেশের জন্য লড়বে। আবরারের জীবন থেকে আমরা এই শিক্ষায় নিব। ভবিষ্যতে আর যেন কারও আবরারের মত জীবন দিতে না হয়। এই স্মৃতিফলক তৈরী করতে যা কিছু প্রয়োজন শের-এ-বাংলা হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সাথে হাত মিলিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এক সাথে কাজ করে যাবো।’

দীর্ঘদিন ধরেই আবরার ফাহাদের নামে স্মৃতিফলক নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্মৃতিফলক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে কমিটি গঠনের মাধ্যমে স্মৃতিফলকের নকশা নির্বাচন করে হল প্রাঙ্গণেই এই স্মৃতিফলক নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। শেরেবাংলা হল এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার ঘোষণা দেয়া হয়।

আবরার ফাহাদ বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিলেন। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ভোররাতে বুয়েটের শের-এ-বাংলা হলের ২০১১ নম্বর রুম থেকে আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার আগে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। আজ ৭ অক্টোবর আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের পঞ্চম বর্ষ পূর্ণ হলো। 

এ সময়ে বুয়েটের ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ, বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন দপ্তর-পরিদপ্তরের পরিচালকবৃন্দ, উপদেষ্টা মণ্ডলী, হল প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্টবৃন্দ ও শের-এ-বাংলা হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দসহ হলের সকল ছাত্র, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম