Logo
Logo
×

জাতীয়

বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী

পলাশী মোড়ে ‘আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভ’ পুনর্নির্মাণ সোমবার

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২২ পিএম

পলাশী মোড়ে ‘আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভ’ পুনর্নির্মাণ সোমবার

ভারতবিরোধী স্ট্যাটাসের জেরে ছাত্রলীগের ক্যাডারদের হাতে নৃশংস নির্যাতনে খুন হওয়া বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামীকাল সোমবার রাজধানীর পলাশী মোড়ে ‘আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভ’ পুনর্নির্মাণ করা হবে।  

আবরার ফাহাদের ছোট ভাই ফাইয়াজ আবরার রোববার নিজের ফেসবুক ওয়ালে এ ঘোষণা দেন। 

তিনি লেখেন, ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর প্রথম নির্মাণের পরদিন রাতেই বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের অনেকেই ছাত্রলীগের ভয়াবহ হামলা ও পুলিশের গ্রেফতারের শিকার হয়েছিল। আগামীকাল সোমবার সেই আট স্তম্ভ পুনরায় নির্মাণ করা হবে।

এর আগে বুধবার ফেসবুক পোস্টে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন একই ঘোষণা দিয়েছিলেন। 

২০২০ সালে পলাশী মোড়ে আগ্রাসনবিরোধী স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। সে স্মৃতিস্তম্ভের ফলকে লেখা হয় ‘অনন্ত মহাকালে মোর যাত্রা, অসীম মহাকাশের অন্তে’। আবরার ফাহাদ তার ফেসবুক প্রোফাইলেও ওই উক্তি ব্যবহার করেছিলেন।

সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, গণপ্রতিরক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা, দেশীয় শিল্প-কৃষি ও নদী-বন-বন্দর রক্ষা, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা এবং মানবিক মর্যাদা—এই আটটি বিষয়ের প্রতীক হিসেবে আটটি স্তম্ভ বানানো হয়েছিল। তবে নির্মাণের পরদিনই সেটি ভেঙে ফেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম চুক্তি এবং পানি আগ্রাসন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে রাত ৩টার দিকে হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। দায়ের হয় হত্যা মামলা। ওই মামলায় সব মিলিয়ে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এর মধ্যে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম