সংবাদ সম্মেলনে জ্বালানি উপদেষ্টা
২০২৮ সালের মধ্যে আরও ১০০ কূপ খনন করা হবে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪৩ এএম
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, দেশে চলমান জ্বালানি সংকটের মধ্যে গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২০২৮ সালের মধ্যে আরও ১০০টি গ্যাস ক‚প খনন করা হবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি উপদেষ্টা এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান। ফাওজুল কবির খান বলেন, জ্বালানি সংকটের কারণ হলো গ্যাসের রিজার্ভ কমে আসছে। সে কারণেই ব্যয়বহুল এলএনজি আমদানি করতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার করার। গভীর সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানে ৭টি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সাগর ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গ্যাস অনুসন্ধানের পরিকল্পনা ব্রিফিংয়ে তুলে ধরে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৫০টি ক‚প খননের পরিকল্পনায় ছিল। এর মধ্যে ১৫টি খনন করে ১৭৬ মিলিয়ন ঘনফুট প্রতিদিন উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মিলেছে। তবে পাইপলাইন না থাকায় এখন ৭৬ মিলিয়ন ঘনফুট দেওয়া হয়েছে জাতীয় গ্রিডে।
তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে আরও ৩৫টি ক‚প খনন করা হবে। এর মধ্যে ১১টি ক‚প খনন করবে বাপেক্স, বাকি ২৪টি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে কাজ দেওয়া হবে। এখন জিটুজিও করা হবে না, সবার জন্য উন্মুক্ত।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির বলেন, ২০২৮ সালের মধ্যে আরও ১০০টি কূপ খনন করা হবে। স্থলভাগের ৬৯টি ক‚পে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানো হবে। ৩৩টি ক‚পে অনুসন্ধান করবে বাপেক্স। আরও ১০টি রিগ ভাড়া করে করবে। বাকি ২৬টি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে করা হবে। এর ফলে গ্যাস সংকট অনেকটাই কাটবে। কোনো প্রকল্পের সময় আর বাড়ানো হবে না। আগামী সপ্তাহে টেন্ডার হবে বলেও জানান তিনি।
সাগরের তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহবানের জন্য পেট্রোবাংলার দেওয়া বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বাইরে ১৫ হাজার ব্যারেল বা ১৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের অভিজ্ঞতা আছে এমন আইওসি দরপত্রে অংশ নিতে পারবে। মডেল উৎপাদন বণ্টন চুক্তির (পিএসসি) আওতায় বিদেশি কোম্পানিগুলোকে ব্লক দেওয়া হবে। এ জন্য ২০২৩ সালে মডেল পিএসসির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় সরকার।
সংশোধিত এ মডেল চুক্তি অনুযায়ী সাগরে গ্যাস পাওয়া গেলে বিশ্ববাজারে তেলের দামের ১০ শতাংশ ধরে সরকার প্রতি ইউনিট গ্যাস কিনবে, যা বিদ্যমান পিএসসিতে যথাক্রমে অগভীর ও গভীর সমুদ্রে ৫ দশমিক ৬ ডলার ও ৭ দশমিক ২৫ ডলার স্থির দর ছিল।