কানাডা থেকে দেশে ফিরেই গ্রেফতার হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। সোমবার সকালে তাকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে ডিবি। পরে পল্টনে যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে ৫ দিনের রিমাণ্ডে নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক যুগান্তরকে বলেন, সোমবার ভোরে কানাডা থেকে দেশে ফেরেন সুলতান মনসুর। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকেই তাকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। এরপর তাকে পল্টন থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ জানায়, রাজধানীর পল্টনে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মুহাম্মদ মনসুর আহমেদকে গ্রেফতার দেখায় পল্টন থানা পুলিশ। পরে ওইদিন বিকেলে তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাগীব নূরের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন পল্টন মডেল থানার এসআই তন্ময় কুমরা বিশ্বাস। শুনানি শেষে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে আদালতে সুলতান মনসুরের পক্ষে কোনো আইনজীবি ছিলেন না।
সুলতান মনসুরের পরিবারসূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ভ্রমণে ছিলেন তিনি। ছাত্র আন্দোলনের অনেক আগে থেকেই তিনি দেশের বাইরে ছিলেন।
সুলতান মনসুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন সুলতান মনসুর। ২০০১ সালের নির্বাচনে সুলতান মনসুর দলীয় মনোনয়ন পেলেও বিএনপির ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ এম এম শাহীনের কাছে হেরে যান।
এক-এগারোর সময় দলের সঙ্গে সুলতান মনসুরের দূরত্ব তৈরি হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সুলতান মনসুর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের (গণফোরাম) প্রার্থী হয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। গত নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হননি।