Logo
Logo
×

জাতীয়

ধর্ষণ মামলার রায় প্রকাশ

আসামির যাবজ্জীবন, দিতে হবে শিশুর ভরণপোষণ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ এএম

আসামির যাবজ্জীবন, দিতে হবে শিশুর ভরণপোষণ

হবিগঞ্জের এক ধর্ষণ মামলার আসামিকে বিচারিক আদালতে দেওয়া খালাসের রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। 

এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের পর জন্ম নেওয়া শিশুর ভরণপোষণের ব্যয়ভার বহনের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারিক আদালতের রায় বাতিল চেয়ে বাদীর (ভিকটিম) আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। 

চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের দেওয়া এই রায়ের অনুলিপি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে। ভিকটিমের পক্ষের আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষ এজাহার থেকে জানায়, বিয়ের কথা বলে ভিকটিমকে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের টিলাগাঁও এলাকার ছিদ্দিক আলীর ছেলে কাছুম আলী একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ২০০৫ সালের ৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ সেন্ট্রাল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান তিনি। এতে গর্ভে সন্তান থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন। গর্ভ ধারণের পর কাছুম আলী তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। 

এরপর ২০০৬ সালের শুরুতে কাছুম আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। এর মধ্যে ভিকটিম একটি সন্তানের জন্ম দেন। আসামিপক্ষ স্থানীয়ভাবে আপসের কথা বলে। ওই মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ আসামিকে খালাস দেন।

রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, সেই রায়ের বিরুদ্ধে ভিকটিম হাইকোর্টে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১ এ ধারায় আবেদন করেন। হাইকোর্ট ২০২১ সালের ৩০ মে রুল জারি করেন এবং নিু আদালতের নথি তলব করেন। হাইকোর্ট রুল শুনানি শেষে বিচারিক আদালতের রায় বাতিল এবং আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। আর ভিকটিমের সন্তানের লালন-পালন করার বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১৩ ধারা মোতাবেক নির্দেশনা দিয়েছেন। 

রায়ে আদালত বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রায় রদ ও রহিত করা হলো। এক থেকে চার নম্বর সাক্ষীর আলোকে অভিযুক্ত কাছুম আলীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। অতিরিক্ত এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো, যা ভিকটিম প্রাপ্য হবেন। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাভোগ করার জন্য আদেশ দেওয়া হলো। পাশাপাশি আসামিকে সংশ্লি ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হলো।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম