পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটি
ইসলামবিদ্বেষী ঢাবির ২ শিক্ষককে অপসারণে আলটিমেটাম
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪১ পিএম
পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটি থেকে ইসলামবিদ্বেষী দুই সদস্য অপসারণ ও ইসলামিক স্কলার অন্তর্ভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মানববন্ধনে ‘আমাদের সন্তানদের গিনিপিগ বানানো চলবে না’, ‘যৌন শিক্ষা পরিবার দেবে, স্কুল না’, ‘পাঠ্যপুস্তক সমন্বয় কমিটিতে ইসলামবিদ্বেষী কেন?’ ‘পাঠ্যপুস্তকে পশ্চিমা বিকৃত মতবাদ ঢোকানো যাবে না’, ‘এনজিওদের কবল থেকে, বাঁচাতে হবে প্রজন্মকে’, ‘সমকামিতার আমদানি, অধিকার নয় বিকৃতি, পাঠ্যপুস্তকের সংস্কার, আলেম ছাড়া আশঙ্কার, ইসলামবিদ্বেষী কুলাঙ্গার, কমিটি থেকে বহিষ্কার’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে অংশ নিতে দেখা গেছে সচেতন নাগরিকদের।
ডা. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, প্রায় শতাধিক আলেম-হাফেজের শাহাদাত বরণ, সহস্রাধিক ছাত্র-জনতার জীবন দান এবং প্রায় ৩০ হাজার আহত মানুষের রক্তের ওপর দিয়ে এই সরকার গঠিত হয়েছে। অথচ এর ফসল হিসাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে এসে তারা পশ্চিমাদের চাপানো ইসলামবিদ্বেষী ও ঈমান হরণকারী বিষয় আমাদের আগামী প্রজন্মের পাঠ্যপুস্তকে অনুপ্রবেশ ঘটানোর দুঃসাহস করছে; যা বিগত রাজনৈতিক সরকারগুলোও করেনি। সম্প্রতি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনে ১০ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে, যা প্রতিটি অভিভাবক ও সচেতন নাগরিকদের প্রাণের দাবি ছিল। কিন্তু কাদের ইশারায় কাদের খুশি করার জন্য তাদের মধ্যে ঢাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন ও ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রাকে রাখা হয়েছে তা বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে।
তারা আরও বলেন, অধ্যাপক মামুন বিগত দিনগুলোতে তার ক্লাসে ও সামাজিক মাধ্যমে সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধবিদ্বেষী নানা বক্তব্য দেওয়া একজন চরম ধর্মবিদ্বেষী লোক। এদিকে সামিনা লুৎফা হলেন বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও এদেশের সব ধর্মের মানুষের মূল্যবোধ পরিপন্থি সমকামিতা ও লিঙ্গ স্বাধীনতার নামে বিকৃত মতবাদের সক্রিয়কর্মী।
বক্তারা আলটিমেটাম দিয়ে বলেন, আগামী সাতদিনের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটি থেকে এ দুজনকে বহিষ্কার এবং দেশপ্রেমী ও বিশেষজ্ঞ আলেম-স্কলারকে অন্তর্ভুক্ত না করলে এনসিটিবি ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
কর্মসূচিতে অংশ নেন, হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন ইউনুস, জামায়াতের উলামা পরিষদের সভাপতি ড. খলিলুর রহমান মাদানি, ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদের খতিব মুফতি সাইফুল ইসলাম, মাওলানা রেজাউল করিম আববার, প্রফেসর মোখতার আহমাদ, মাওলানা মুহাম্মদ রজীবুল হক, মাওলানা গাজী ইয়াকুব, মাওলানা সাইমুম সাদী, ড. হাবীবুর রহমান, মাওলানা আবু মুহাম্মাদ রহমানী, মাওলানা আবদুল গাফফার, মাওলানা নিজাম বিন মুহিব, মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. সারোয়ার হোসেন, ডা. শামসুল আরেফীন শক্তি, শরীফ আবু হায়াত অপু, মাওলানা ইসমাঈল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।